শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ দিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন।
জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলে দুদিনের টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলের কারণে নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তাসহ সব নদ-নদীর পানির পাশাপাশি বিলের পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত আছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। সেই সঙ্গে ফসলি জমিতে পানি ওঠায় নষ্ট হচ্ছে আগাম শীতকালীন শাকসবজি ও বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল।
তিস্তা চর গড্ডিমারী এলাকার ফজর আলী বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি। বেশ কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জিয়া বলেন, গত তিনদিন ধরে টানা বর্ষণের তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাস্তাঘাটে পানি উঠে চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার উপপ্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, তিস্তার পানি বিপদসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ গেট খোলা রাখা হয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।