রোববার ১৭ আগস্ট দুপুরে মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বড় রওজার সামনের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে সে প্রাণ হারায়। নিহত বাবলা কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার আড়ালিয়া গ্রামের তুহিন মিয়ার ছোট ছেলে।
নিহতের বাবা তুহিন মিয়া জানান, আমি আর বাবলা একসাথে পুকুরে গোসল করছিলাম। তাকে বলেছিলাম তার মাকে ডাকতে। ভেবেছিলাম মা’কে ডাকতে গেছে। আমাদের চারপাশে অনেক মানুষ ছিল, কিন্তু কেউ কিছু টের পায়নি। অনেক খোঁজা-খুঁজির পর হঠাৎ তাকে পুকুরেই পাওয়া যায়। দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলেও ডাক্তার জানিয়ে দেন, আমার বাবলা আর বেঁচে নেই।
ক্ষণিকের ভুল ও অসাবধানতার কারণেই নিভে গেল তেরো বছরের এক কিশোরের প্রাণ। বাবা-মায়ের চোখের সামনে সন্তান হারানোর শোক যে কতটা গভীর তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি থানার ওসি নুর আহমেদ বলেন, বাবলা তার পরিবারের সঙ্গে মাইজভান্ডারে ওরশ শরীফে এসেছিল। সে সাঁতার জানত না। কীভাবে পানিতে পড়েছে, পরিবারের কেউই বুঝতে পারেনি। পরিবার এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ করেনি এবং তারা মরদেহ নিয়ে নিজ বাড়িতে চলে গেছেন।


