১৪ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে নারায়ণহাটের নেপচুন চা বাগান কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বাগান শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত শহিদুল ইসলাম একজন সাধারণ চা শ্রমিক এবং তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চারা পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই পুলিশ তাঁকে আটক করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১০ দিন আগে চা বাগানের নার্সারিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।এই ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ঘটনার তদন্তে শহিদুল ইসলামের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ভূজপুর থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল আলম বলেন, মামলার তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই শহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই মানববন্ধনে বাগানের পঞ্চায়েত কমিটি ও স্থানীয় সমাজ প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
পঞ্চায়েত সভাপতি মৃদুল কর্মকার বলেন, কোনো ভুল থাকলে পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা যেত। সরাসরি জেলে পাঠানো অমানবিক কাজ।
সমাজ প্রতিনিধি শংকর দাশ, পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ, সদস্য আনোয়ারা বেগম ও রফিকুল ইসলাম মানববন্ধনে অংশ নেন এবং শহিদুলের দ্রুত মুক্তির দাবি জানান। তাঁরা হুঁশিয়ারি দেন, আন্দোলনের পথেই যেতে হবে যদি তাঁকে দ্রুত মুক্তি না দেওয়া হয়।
চা বাগানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি বাগানে চুরি ও চারা পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। মালিক পক্ষের সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে মামলা করা হয়। তদন্তের ভিত্তিতেই পুলিশ শহিদুলকে আটক করেছে। আদালত যদি তাঁকে নির্দোষ মনে করে, তাহলে তিনি জামিন পাবেন।
শহিদুলের মুক্তি না পেলে আন্দোলন আরও তীব্র হতে পারে বলে জানিয়েছে পঞ্চায়েত কমিটি। বর্তমানে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।


