রবিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হাটহাজারীতে জামায়াতে ইসলামীর এক দায়িত্বশীল সমাবেশে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা মোহাম্মদ শাহজাহান এ ঘোষণা করেন।অধ্যাপক আবদুল মালেক চৌধুরী বেসরকারী ডিগ্রি কলেজে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে গত ২৭ বছর ধরে শিক্ষকতা করে আসছেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক ছাত্রনেতা ও দায়িত্বশীল ছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থী পরিবর্তনের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করলেও ব্যক্তিগত কারণ ও স্বাস্থ্যগত কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
দলের নীতিনির্ধারকরা বিকল্প প্রার্থী হিসেবে তরুণ নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক দক্ষতায় সমৃদ্ধ অধ্যাপক আবদুল মালেক চৌধুরীকে মনোনয়ন দেন।
নবমনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক আবদুল মালেক বলেন, “দল যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা আমি আল্লাহর সাহায্যে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করব। জনগণের সেবা ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।”
জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা নতুন প্রার্থীকে নিয়ে ইতিমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন।
অধ্যাপক মালেকের শিক্ষা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনপ্রিয়তা হাটহাজারীতে দলের ভিত্তি আরও শক্ত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সমাবেশ শেষে রাত পৌনে আটটায় সাবেক প্রার্থী ইন্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম ও নতুন প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল মালেক চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল একটি মিছিল হাটহাজারী পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে শেষ হয়।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই পরিবর্তন হাটহাজারীর নির্বাচনী সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ হল।