রাজশাহী মহানগরীতে গভীর রাতে কিছু লোক আওয়ামী লীগের এক নেতার বাড়িতে ঢুকে হামলা-ভাঙচুর ও মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কাজলা নতুন বৌ বাজার এলাকায় শনিবার মধ্যরাতে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেদ হাসান বিপ্লবের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে বলে মতিহার থানার ওসি আব্দুল মালেক বলেন।
হামলার সময় টেলিভিশন, ফ্রিজ, এসি ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া বিপ্লবের বাবা হেলাল উদ্দিনকে (৬২) একটি কক্ষে আটকে রাখা এবং মা খালেদা বেগমকে (৫৩) মারধর করা হয়। বাড়িতে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে এ ঘটনা নিয়ে বিপ্লবের পরিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি; থানায়ও কোনো অভিযোগ দেয়নি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই এলাকার এক প্রতিবেশী জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক থেকে দেড়শ লোক বিপ্লবের বাড়িতে আসে। ফটকে তালা দেওয়া ছিল। তখন ৩০-৪০ জন প্রাচীর টপকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। তারা দোতলায় উঠে বিপ্লবকে খুঁজতে থাকে। বিপ্লব ৫ অগাস্টের পর থেকে আত্মগোপনে আছেন। তাকে না পেয়ে বাড়িতে তাণ্ডব চালানো হয়। এ সময় বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়। প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে তারা চলে যায়।
তিনি বলেন, “হামলাকারীরা চলে গেলে পরিবারের লোকজন ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে টহল পুলিশ যায়। তারা খালেদা বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। তবে ভয়ে তিনি বাড়ি থেকে বের হননি।”
মতিহার থানার ওসি আব্দুল মালেক বলেন, “খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ গিয়েছিল। স্বামী-স্ত্রীকে মারধর করেছে। কিছু জিনিস ভাঙচুর করেছে। খুব বেশি মারধর করেনি, ভাঙচুর করেছে আরকি। থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি। কিন্তু কেউ আসেনি।”


