বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এটি কোনো ডাকাতির ঘটনা নয়। চক্রের সদস্যরা মূলত বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন ম্যাটেরিয়াল চুরি করতে এসেছিল। ঘটনার পর বিদ্যুৎকেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনায় জড়িত প্রকৃত আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসিক ভবনের গেটে সন্ত্রাসীদের হামলায় এক আনসার সদস্য ও ৫ নিরাপত্তাকর্মী আহত হন। এ সময় গুলিবিদ্ধ আশাবুল গাজী (২০) নামে এক ডাকাতকে আটক করেন আনসার সদস্যরা। পরে আহত আনসার সদস্য ও গুলিবিদ্ধ ডাকাতকে খুলনায় এবং চার নিরাপত্তাকর্মীকে রামপাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আনসার ব্যাটালিয়ান-৩ এর পরিচালক মোল্লা আবু সাইদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বুধবার রাতে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেটেরিয়াল ইয়ার্ডের ৩নং টাওয়ারের পাশ থেকে একটি সন্ত্রাসী দল চুরির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর হামলা চালায়। ঘটনার খবর পেয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে নিয়োজিত আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা চোরদের ধাওয়া করে। এ সময় চক্রের সদস্যরা আনসারদের ওপর হামলা করলে নিরাপত্তার স্বার্থে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনসার সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এ সময় ওই চক্রের আশাবুল গাজী নামে এক সসদ্য গুলিবিদ্ধ হলে চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যায়। চক্রটির হামলায় সেন্ট্রি সিকিউরিটি সুপারভাইজার আকরাম, সাইদুল ইসলাম, মিন্টু বৈরাগী, ব্রজেন মন্ডল ও আনসার সদস্য কামাল পাশা আহত হন। আহতদের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাময় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।