মাহিন উপজেলার নিজগাঁও গ্রামে কাজী আব্দুল মতিনের ছেলে৷ এবার শায়েস্তাগঞ্জ মডেল কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঈদের দিন রাত ৮টার দিকে দুই যুবক মাহিনের বাড়িতে এসে তাকে ডেকে শায়েস্তাগঞ্জ রেল জংশনের পাশে দীঘির পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে এলোপাতাড়ি মারধর করে ফেলে যায়।
পরে পথচারীরা মাহিনকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন।
নিহতের বাড়িতে গেলে তার স্বজনরা জানান, মোজাহিদ ও জুনাইদ নামে দুই যুবক মাহিনকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। তারা হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
মাহিনের মা রোকেয়া বেগম বলেন, কয়েকদিন আগে মাহিনের সঙ্গে মোজাহিদ ও জুনাইদের ঝগড়া হয়। এজন্য মাহিন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সেই ক্ষোভে তারা ডেকে নিয়ে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, মাহিন ঈদের আগেরদিন ফুটপাতের দোকান থেকে তিনটি পুরাতন পাঞ্জাবি কিনেছিল। সেগুলোর একটিও পড়তে পাড়েনি। খুনিরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে।
‘আমি নিজে ডেকে আমার ছেলেকে খুনিদের হাতে তুলে দিয়েছি’ বলে রোকেয়া খাতুন বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দার জানান, মাহিন পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিল। এলাকার লোকজন তার শিষ্টাচারের প্রসংশা করেন।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) উত্তম দাশ জানান, মাহিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের তৎপরতা চালানো হচ্ছে।