ব্যতিক্রমী বাগান করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন কৃষিবিদ ইমরুল আহসান। তিনি বীরগঞ্জ পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি দিনাজপুর হর্টিকালচার সেন্টারের সহকারী উদ্যান উন্নয়ন কর্মকর্তা ও নিজের গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাসনিয়া অ্যাগ্রো রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন।
উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের বর্ষা গ্রামে অবস্থিত তাসনিয়া অ্যাগ্রো রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে তিনি কয়েক বছর হতে বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি আপেল চাষ ও গবেষণা করছেন। তার চাষ করা বিদেশি আপেলের নিবিড় পরিচর্যা ও গবেষণায় এ বছর ২৫টি গাছের মধ্যে ১২টি গাছে থোকায় থোকায় আপেল এসেছে। গত বছরে ২টি গাছে ৫০টির মতো ফল আসে। কিন্তু এ বছর তার বাগানে ১৫ শতাধিক ফল ধরেছে, সেই সঙ্গে ফলনও হয়েছে বাম্পার।
আপেল চাষ ও গবেষণায় তার প্রতিষ্ঠানে এই অঞ্চলের জন্য উপযোগী ৩টি জাত উৎপাদন করে সফল হয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে সামার রাম্বু, হরিমন ৯৯, আন্না, কাশমেরি। এই জাতগুলো ব্যাপকভাবে ফলন হয়েছে। ২০২১ সালের জুন মাসে আপেলের চারাগুলো রোপণ করেন। বর্তমানে গাছগুলোর বয়স ৩ বছর। প্রতিটি গাছের উচ্চতা ৮ থেকে ১০ ফুট।
তিনি জানান, দেশের অনুকূল আবহাওয়ায় আপেল চাষের জন্য তিনটি জাতে বেশকিছু হরমোনাল ট্রিটমেন্ট লাগে যেটা অনেকেই জানেন না, যার কারণে প্রচুর ফুল আসে কিন্তু ফল ধরে না, তাই আপেল ফল টেকানোর জন্য প্লানমাফিক সঠিক পুষ্টি উপাদান ও বেশকিছু হরমোনাল ট্রিটমেন্ট লাগে যার সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করতে পারলে এই অঞ্চলে আপেল উৎপাদন সম্ভব। প্রতিদিন অনেক মানুষ আপেল চাষ করার জন্য পরামর্শ নিচ্ছেন। তবে কেউ যদি আপেল চাষ করতে চায় তাহলে আমার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
আপেল বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থী সাদেকুল ইসলাম জানান, আপেল আমাদের দেশে চাষ করা সম্ভব তা আমার আগে জানা ছিল না, তাই সপরিবারে স্বচক্ষে দেখতে আসলাম সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। আমিও তার কাছে কয়েকটি জাতের আপেল চারা ক্রয় করে তার পরামর্শ নিয়ে আপেল চাষ করব।