সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল থেকে শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
নিহত মোশারফ রংপুরের মিঠাপুকুর এলাকার মৃত মুক্তার হোসেনের ছেলে। সে সাভারের তেঁতুলঝড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়িয়া এলাকার রাজাঘাট মহল্লায় সোহেলের মালিকানাধীন ভাড়া বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। ওই শ্রমিক ইসাবা প্যাকেজিং কারখানায় ড্রাইকাটিংয়ের কাজ করতেন।
কুদ্দুস নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘মোশারফ ও তার স্ত্রী ওই প্যাকেজিং কারখানায় ড্রাইকাটিং পদে চাকরি করতেন। আজ বিকেল ৪টার দিকে কারখানার ভেতরে মোশারফের মাথায় আঘাত পায় বলে জানতে পারি। পরে সেখানেই মোশারফের মৃত্যু হয়। এরপরে কারখানার শ্রমিকরা জড়ো হলে মোশারফের মরদেহ তড়িঘড়ি করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।’
নিহতের চাচা শরিফুল ইসলাম শরিফ বলেন, বিকেলে আমরা খবর পাই মোশারফ মারা গেছে। কিন্তু তার মরদেহ কারখানা থেকে সরিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তারপরে আমাকে জানানো হয় মোশারফের মৃত্যু হয়েছে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়মুল হুদা বলেন, সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে মোশারফকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজিব শিকদার বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানালে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।