দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতি হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯১৮ মিটার, দীর্ঘতম স্প্যান রয়েছে ১১৬ দশমিক ২০ মিটার (যা দেশের সর্বোচ্চ), নিম্নতম স্প্যান রয়েছে ৩০ মিটার। ২৪টি পিলার ও দুটি অ্যাবাটমেন্ট রয়েছে। ক্যারেজওয়ে রয়েছে ৭ দশমিক ৫০ মিটার। প্রতি পার্শ্বে সাইড ওয়াক রয়েছে ১ দশমিক ২৫ মিটার। ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স রয়েছে ১৮ মিটার। ৮১ কোটি ৯৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা ব্যয়ে এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
১৯৯৯ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতু নির্মাণের ভিত্তিফলক উন্মোচন করে নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ২০০২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেতুর উদ্বোধন করেন।
স্থানীয়রা জানান, সেতু উদ্বোধনের ২২ বছর অতিবাহিত হতেই বাতিগুলোর বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। সন্ধ্যা হলেই সেতুর ওপর নেমে আসে অন্ধকার। এ কারণে প্রায় সময়ই ছোটোখাটো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। মোটরসাইকেল চালক মিজানুর রহমান জানান, ব্রিজে উঠলেই দেখা যায় বাতিগুলো জ্বলে না। সামনে থেকে বড় কোনো গাড়ি এলে তখন আর চোখে কিছু দেখা যায় না। মাথায় হেলমেট থাকলে সবকিছু তখন ধোয়া দেখা যায়। পাশে মোটরসাইকেল রেখে অনেকেই বাতাস উপভোগ করেন। সড়ক বাতি না থাকলে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে। নতুন চালক হলে তো দুর্ঘটনা থেকে রেহাই নেই। অনেকদিন ধরে এমন অবস্থা রয়েছে। কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি না পড়লে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরীফ খান জানান, সেতুর বাতিগুলোর বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। বাতি পুনঃস্থাপনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।