শিক্ষার্থী না থাকায় দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় অন্য স্কুলের ৩ শিক্ষার্থীকে দিয়ে পরিক্ষায় অংশ নেয়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার দুপুরে ওই স্কুলের ক্লাস রুমে এ ঘটনা ঘটে।
সহকারি শিক্ষক শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার ও তার ভাই ওই স্কুলের পিয়ন আলমগীর হোসেন যথাযথভাবে আসেন না বা ক্লাস করান না এবং স্কুলের ল্যাপটপ বাড়িতে নিয়ে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করাসহ নানা অনিয়ম করে আসছে।
এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করায় এবং ফেসবুকে ভিডিও বক্তব্য দেয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার ও তার ভাই ওই স্কুলের পিয়ন আলমগীর হোসেন ভাড়াটিয়া লোকজন স্কুলে প্রবেশ করিয়ে সহকারি শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ফরিদকে বেধরক মারধর (জুতাপেটা) ও হামলা চালিয়ে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে ওই স্কুলের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণিতে ৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিতে দেখা গেলেও ৪র্থ শ্রেণিতে ৩ জন অন্য স্কুলের শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশ নেয়ানো হয়।
এদের মধ্যে হাফসা আক্তার ফারজানা বড়ইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী যার রোল নং ৩১।
অপরদুজন মধ্য বড়ইয়া ৫৮ নং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্র কাজি আল রাওফি ইসলাম বাপ্পি, যার রোল নং ১৯ ও হাফিজুর ইসলাম সাইয়েম, যার রোল নং ১৭।
মধ্য বড়ইয়া ৫৮ নং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ জানান, এরা দুজনই মধ্য বড়ইয়া ৫৮ নং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্র।
তাদের এ স্কুল থেকে ইউনিক আইডি ও উপ বৃত্তির সুবিধা নিচ্ছে।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ৬১ নং উত্তর পালট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার ও তার ভাই ওই স্কুলের পিয়ন আলমগীর হোসেন জানান, সহকারি শিক্ষক শফিক বিলম্ব করে স্কুলে আসে এবং সঠিকভাবে ক্লাস না করিয়ে শিক্ষার্থীদের তাড়িয়ে দেয়।
এসব ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করেছে, এ ঘটনায় তিনি জড়িত নয়।
অন্য স্কুলের শিক্ষার্থীদের দিয়ে পরীক্ষা দেয়ানোর বিষয়ে তিনি দাবি করেন, তারা তার স্কুলের ছাত্র।
ল্যাপটপ স্কুলে থাকে আজকে বাড়িতে রেখে এসেছি।
উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আক্তার হোসেন জানান, সহকারি শিক্ষক শফিকুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে অনিয়ম ও মারধরের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।