গত মার্চে আন্তর্জাতিক জার্নাল নেচার মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, উদ্ভিজ্জ খাদ্যাভ্যাস বয়সজনিত জটিলতা কমাতে সাহায্য করে। গবেষকেরা ৩০ বছর ধরে ৩৯ থেকে ৬৯ বছর বয়সী এক লাখ পাঁচ হাজার মানুষকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাদের মধ্যে যারা স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা মেনে চলেছেন, ৭০ বছর বয়সে এসে তাদের সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বেড়েছে ৮৬ শতাংশ। আর ৭৫ বছর বয়সেও সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। যে সাত ধরনের খাবার বেশি খেতে হবে
. ফলমূল
. সবজি
. গোটা শস্য (রিফাইনড নয়)
. লেগিউম (শিম, মটর, ছোলা, চানা, মসুর ডাল ইত্যাদি)
. বাদামজাতীয় খাবার
. অসম্পৃক্ত স্নেহ পদার্থ (উদ্ভিজ্জ তেল, মাছের তেল)
. লো–ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার (পরিমিত পরিমাণে)
যে পাঁচ ধরনের খাবার কম খেতে হবে কিংবা বাদ দিতে হবে
. চিনিযুক্ত পানীয়
. লাল মাংস
. ট্রান্স ফ্যাট (ফাস্টফুড, বেক করা খাবার, মার্জারিন)
. অতিরিক্ত লবণ (যেমন পাতে বাড়তি লবণ)
. প্রক্রিয়াজাত মাংস
গবেষকেরা জানিয়েছেন, উদ্ভিজ্জ খাদ্যাভ্যাস কেবল রোগ প্রতিরোধেই নয়, বরং দীর্ঘদিন তারুণ্য ধরে রাখতেও কার্যকর ভূমিকা রাখে। তবে এর পাশাপাশি সঠিক পরিমাণে প্রাণীজ খাদ্য যোগ করলে শরীর আরও সুস্থ ও সক্রিয় থাকবে। হার্ভার্ডের গবেষকদের ভাষায় ভবিষ্যতের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই হবে উদ্ভিজ্জভিত্তিক খাদ্য তালিকা।