শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫
শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫
27 C
Dhaka
Homeস্বাস্থ্যফ্যাটি লিভারের নতুন ওষুধ আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

ফ্যাটি লিভারের নতুন ওষুধ আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫ ১:৪৬

ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি সম্ভব। নতুন আবিষ্কৃত ওষুধ সে দিকেই ইঙ্গিত করছে।

জীবনে রাস্তার ভাজাভুজি খাওয়ার অভ্যাস যত বাড়ছে, ততই লিভারের উপর চাপ তৈরি হচ্ছে। ফলে কমবেশি অনেকেই এখন ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। সময়ে সতর্ক না হলে এই পরিস্থিতি থেকে লিভার সিরোসিস বা ক্যানসার হতে পারে। তবে সাম্প্রতিক একটি আবিষ্কার ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসায় নতুন দিশার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

স্থূলত্ব এবং টাইপ ২ ডায়াবিটিসের সঙ্গে ফ্যাটি লিভারের একটি বিশেষ পর্যায়ের যোগসূত্র রয়েছে। তাকে বলা হয় ‘মেটাবলিক ডিসফাংশন অ্যাসোসিয়েটেড স্টেটোহেপাটাইটিস’ (মাশ)। এই অবস্থা থেকে সিরোসিসের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষক দল ফ্যাটি লিভার নির্মূল করতে একটি পরীক্ষামূলক ওষুধ আবিষ্কার করেছেন। তাঁদের দাবি, ফ্যাটি লিভারের এই পর্যায়ের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ওষু‌ধটি কার্যকরী।

সম্প্রতি ‘দ্য ল্যানসেট’ জার্নালে নতুন এই ওষুধটিকে নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ওষুধটির নাম ‘আইওএন২২৪’। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এই ওষুধটি যকৃতের একটি বিশেষ উৎসেচকের (ডিজিএটি২) ক্ষরণে বাধা সৃষ্টি করে। এই উৎসচেকটি যকৃতে মেদ তৈরি এবং সঞ্চয়ের হারকে নিয়ন্ত্রণ করে। উৎসেচকটির ক্ষরণ কমানো সম্ভব হলে সে ক্ষেত্রে যকৃতে ফ্যাট এবং প্রদাহ কমতে শুরু করে। গববেষক রোহিত লুম্বা বলেন, ‘‘‘মাশ’-এর মতো ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে এই গবেষণা নতুন পথের সন্ধান দিয়েছে। ডিজিএটি২-কে আটকে দেওয়ার অর্থ আমরা রোগ তৈরির প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে পারছি।’’

ইতিমধ্যে আমেরিকার বিভিন্ন গবেষণাগারে দ্বিতীয় পর্যায়ে এই ওষুধটির প্রয়োগ শেষ হয়েছে। ‘মাশ’-এ আক্রান্ত ১৬০ জন ব্যক্তিকে ওষুধটি দেওয়া হয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে মাসিক ভিত্তিতে নানা মাত্রায় রোগীদের ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফল বলছে, সর্বোচ্চ ডোজ়ের প্রয়োগে প্রায় ৬০ শতাংশ রোগীর যকৃতের স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন ওজনের ব্যক্তির ক্ষেত্রে ওষুধটি একই রকম ফলাফল প্রদান করেছে। বিজ্ঞানীদের আশা, অন্যান্য চিকিৎসার সঙ্গে এই ওষুধটি সমান্তরালে ব্যবহার করা যাবে এবং ওষুধটির কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। লুম্বা বলেন, ‘‘তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে আমাদের দাবি প্রমাণিত হলে রোগীদের এই ওষুধের নিয়ন্ত্রিত ডোজ় দেওয়া সম্ভব, যা যকৃতের ক্ষতি রুখে দেবে।’

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর