রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
19 C
Dhaka

আগাম জামিন পেলেন নাহিদ সুলতানা যুথি

0
নাহিদ সুলতানা যুথি
নাহিদ সুলতানা যুথি

বুধবার (২০ মার্চ) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথির জামিন আবেদন শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে স্বতন্ত্র থেকে সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথির জামিন আবেদন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি।

বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টে বেঞ্চে তার জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য পাঠানো হয়।

এর আগে সোমবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি মো. সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের এক বিচারক নাহিদ সুলতানা যুথির জামিন আবেদন শুনতে বিব্রতবোধ করেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা মামলায় অ্যাডভোকেট যুথি এক নম্বর আসামি। তিনি ছাড়াও মামলার আসামি অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা) জামিন আবেদন করেছেন।

এর আগে গত ৮ মার্চ রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় স্বতন্ত্র থেকে সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি, বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই বিএনপির ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন— অ্যাডভোকেট. মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ (৫৫), অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল (৪০), অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। এ ছাড়া মামলায় ৩০/৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ৬ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিয়ম না মানলেই গ্রেপ্তার,কঠোর হচ্ছে কর্তৃপক্ষ

0
মেট্রোরেল
মেট্রোরেল

এর আগে যেমন ঘুড়ি ওড়ানোর কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবার রোজার পর এমন বিশৃঙ্খলা অব্যাহত থাকলে দায়ীদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ।

তিনি জানান, কিছু যাত্রী চেষ্টা করেছেন অন্যদের দরজা থেকে সরাতে। তারা সরেননি। রমজানের কারণে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কঠোর হচ্ছে না।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, সচিবালয় স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম-২ এ উত্তরাগামী ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীর ভিড় ছিল। কিছু সংখ্যক যাত্রী ট্রেনে উঠতে প্ল্যাটফর্মের দরজা আটকে দাঁড়ান। তাদের কারণে দরজাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হচ্ছিল না। মেট্রোরেলের ট্রেনের এবং প্ল্যাটফর্মের দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনবার বন্ধ হওয়ার চেষ্টা করে। মাঝখানে প্রতিবন্ধকতা থাকলে বন্ধ হয় না। তিনবারের চেষ্টায় বন্ধ না হলে, দরজা খোলা থাকে। দরজা খোলা থাকলে ট্রেন চলে না। এ কারণেই মঙ্গলবার ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেল ৪টা ৩৮ মিনিট থেকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। ইফতারের আগে ওই সময়ে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের ঢল ছিল। ট্রেন বন্ধ হওয়ায় বৃষ্টির মধ্যে দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী। স্টেশন সংশ্লিষ্টরা জানান, কারিগরি ত্রুটির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সচিবালয় স্টেশনে সমস্যার কারণে বাকি ১৬ স্টেশনেও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। থেমে থাকা ট্রেনগুলোতে হাজার হাজার যাত্রী ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই জানিয়েছেন, ১০-২০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে ট্রেনে বা স্টেশনে আধাঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে।

ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় অনেক র‌্যাপিড ও এমআরটি পাসধারীদের বের হওয়ার জন্য মেশিন ‘জিরো ব্যালেন্স’ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি যারা সিঙ্গেল ট্রিপের জন্য টিকেট কেটেছিলেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

এক্সপ্রেসওয়ে না মৃত্যুর মহাসড়ক – প্রভাষ আমিন

0
প্রভাষ আমিন
প্রভাষ আমিন

শুক্রবার ছুটির দিনের বিকেলে মোগলটুলী থেকে বাখরাবাদের দিকে যাচ্ছিলাম। পাশে বসা বড় বোনকে বললাম, ভাবা যায়, একসময় এ সড়কটিই ছিল ঢাকা-চট্টগ্রামের মূল সড়ক। সব গাড়ি কুমিল্লা শহরের ভেতর দিয়েই চলাচল করত। ঢাকা থেকে আসা গাড়ি শাসনগাছা দিয়ে ঢুকে চকবাজার দিয়ে বেরিয়ে যেত। এখন যেমন হাইওয়েতে অনেক রেস্টুরেন্ট, তখন তেমন ছিল না। সব গাড়ি চকবাজারে বিরতি নিত। সেখানে কিছু দেশি হোটেল ছিল। সেখানেই সবাই খাওয়া-দাওয়া সারত। আমার গ্রামের বাড়ি দাউদকান্দি, কুমিল্লার প্রথম উপজেলা। আর পড়াশোনা করতাম চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লার শেষ উপজেলা। ছুটিছাটায় আমাকে চৌদ্দগ্রাম-দাউদকান্দি আসা-যাওয়া করতে হতো। তখন এই চকবাজারে অনেকবার বিরতি নিয়েছি।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটিকে বলা হয় বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফলাইন। রাজধানীকে বন্দরনগরীর সঙ্গে যুক্ত করেছে এ সড়ক। আমদানি-রপ্তানির অনেকটাই নির্ভর করে এ মহাসড়কের ওপর। ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের অংশ এ মহাসড়কটির অনেক বিবর্তন আমি চোখের সামনে দেখেছি। আসলে দেখতে হয়েছে। কারণ আমাদের গ্রামের বাড়ি দাউদকান্দির শহীদনগরে। আর মহাসড়কের সঙ্গের প্রথম বাড়িটিই আমাদের। একটু বড় গলায় বলতে পারি, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আমাদের জায়গায় হয়েছে। কারণ একাধিকবার মহাসড়কের জন্য সরকার আমাদের জায়গা অধিগ্রহণ করেছে। আমরা ছেলেবেলায় মহাসড়কের পাশে বসে গাড়ি গুনতাম। ঢাকার দিকে যাওয়া গাড়ি একজন গুনবে, চট্টগ্রামের দিকে যাওয়া গাড়ি অন্যজন গুনবে। এটা ছিল আমাদের খুব প্রিয় খেলা। ছেলেবেলায় আমাদের খেলার ফুটবল অনেকবার মহাসড়কের গাড়ির নিচে চাপা পড়েছে। এখন তো ঢাকা-সিলেট আলাদা মহাসড়ক হয়েছে। চাঁদপুর যাওয়ারও অনেক বিকল্প হয়েছে। একসময় সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গাড়ি ময়নামতি থেকে বাঁদিকে চলে যেত। চাঁদপুরের গাড়িও শহরে ঢুকে টমছম ব্রিজ দিয়ে বের হয়ে যেত। পরে কুমিল্লা শহর বাইপাস করে বিশ্বরোড হলো। ’৮৮-এর বন্যায় দীর্ঘদিন এ মহাসড়কটি ডুবে ছিল। পরে মহাসড়কটি উঁচু করা হয়। এখন তো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হয়েছে। তবে সময়ের দাবি ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে করার। অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মেলাতে তার কোনো বিকল্প নেই।

এখন অনেকে বিশ্বাসই করবেন না। ছেলেবেলায় দাউদকান্দি থেকে ঢাকা আসতে আমাদের তিনটি ফেরি পেরোতে হতো—দাউদকান্দি, মেঘনা, কাঁচপুর। কাঁচপুরে সেতু হয়েছে অনেক আগেই। আমরা ঢাকায় আসার পথে কাঁচপুর সেতুর ওপরে উঠলেই মতিঝিলের আকাশচুম্বী ভবনগুলো দেখতে পেতাম। তখন মনে হতো, ঢাকা চলে এসেছি। তবে দাউদকান্দি আর মেঘনা ফেরি একসময় এই পথে চলাচলকারীদের জন্য আতঙ্ক ছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হতো। ঢাকা-কুমিল্লার ৯০ কিলোমিটারের দূরত্ব অতিক্রম করতে কখনো কখনো সাত-আট ঘণ্টাও লেগে যেত। মেঘনা ও দাউদকান্দি সেতু হওয়ার পর এই দূরত্ব নাটকীয়ভাবে তিন ঘণ্টায় কমে আসে। আর চার লেনে উন্নীত হওয়ার পর এই এখন কার্যত দুই ঘণ্টার দূরত্ব। সাত-আট ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টায় নেমে আসাটা দারুণ উন্নতি বটে।

তারপরও সমস্যা কিছু রয়ে গেছে। এ সমস্যাগুলো রাস্তার নয়, ব্যবস্থাপনার। কিছুটা কর্তৃপক্ষের, কিছুটা আমাদের। আমাদেরটাই আগে বলি। এত চমৎকার একটা মহাসড়ক বানিয়ে দিয়েছে সরকার। কিন্তু সেটা ঠিকঠাকভাবে ব্যবহার করার মতো স্মার্ট হতে পারিনি আমরা। মহাসড়কের গা ঘেঁষেই দোকানপাট, এমনকি ঘরবাড়িও বানিয়ে রেখেছি। একসময় এ মহাসড়কে নিয়মিত দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানি হতো। ডিভাইডারসহ চার লেনে উন্নীত করার পর দুর্ঘটনা অনেক কমে এসেছে। এখন আর মুখোমুখি সংঘর্ষের সুযোগ নেই বললেই চলে। মহাসড়ক বানানোই হয়েছে দ্রুতগতির যান চলাচলের জন্য। কিন্তু আমরা রিকশা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি নিয়েও মহাসড়কে উঠে যাই। সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো, উল্টো দিক থেকে যানবাহন। ডিভাইডারসহ চার লেনে উন্নীত হওয়ার পরও আমরা উল্টো দিকে গাড়ি চালাই। ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলা একটি গাড়ির সামনে যখন উল্টো দিক থেকে আসা একটি রিকশা পড়ে, তখন দুর্ঘটনা ঠেকানো কঠিন। আমি নিজে বহুবার এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। কোনোরকমে দুর্ঘটনা ঠেকানো গেছে বটে, তবে মহাসড়কে গাড়ি চালানোর আনন্দটা আর থাকে না। সারাক্ষণই তটস্থ থাকতে হয়, উল্টো দিক থেকে কিছু এলো কি না। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফুট ওভারব্রিজ আছে, নির্দিষ্ট স্থান পরপর ইউটার্নও আছে। কিন্তু আমরা ফুট ওভারব্রিজে ওঠার কষ্টটুকুও করি না। রাস্তা পেরোতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ি। দুই কিলোমিটার দূরের ইউটার্ন ব্যবহার না করে উল্টো দিকে চালিয়ে দিই। শুধু যে রিকশা, ঠেলাগাড়ি তাই নয়; মাঝেমধ্যে প্রাইভেটকার, এমনকি বড় বড় বাস-ট্রাকও উল্টো দিকে চলে আসে। আর এ প্রবণতা শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নয়; সব মহাসড়ক, এমনকি এক্সপ্রেসওয়েতেও উল্টো দিকে গাড়ি চলার প্রবণতা আছে। ঢাকার ভেতরেই যে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে, সেখানেও সমানে উল্টো দিক থেকে গাড়ি চলে। এমনকি পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতেও একই চিত্র দেখেছি।

ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে আমাদের গর্বের নির্মাণ। এটি আমাদের দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে। আমার মন খারাপ থাকলেই আমি বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে যাই। মন ভালো হয়ে যায়। বিদেশ বিদেশ লাগে। পদ্মা সেতুকে সংযুক্ত করা এই গর্বের এক্সপ্রেসওয়ে এখন পরিণত হয়েছে মৃত্যুর মহাসড়কে। এক বছরে ১৩৫টি দুর্ঘটনায় ১৩১ জন মানুষ মারা গেছে। সত্যিকারের এক্সপ্রেসওয়েতে মানুষের ঢোকারই সুযোগ থাকার কথা নয়। সেখানে আমরা ইচ্ছেমতো যেখানে-সেখানে রাস্তা পার হই। ইচ্ছেমতো বাসস্টপ বানিয়ে নিয়েছি। এক্সপ্রেসওয়ে বানানোর পর যদি দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু বেড়ে যায়, তাহলে তো এর উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। দোষ তো এক্সপ্রেসওয়ের না। দোষ হলো আমাদের, ব্যবস্থাপনার। শুধু এক্সপ্রেসওয়ে বানালেই হবে না, সেটা ব্যবহার করার মতো স্মার্ট ও সতর্ক হতে হবে আমাদের। না হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ দিয়ে তা নিশ্চিত করতে হবে।

তবে গত সপ্তাহে একবেলার জন্য কুমিল্লা যেতে-আসতে যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো, তা মনে থাকবে অনেক দিন। তবে এ প্রবণতা নতুন নয়। শুক্রবার দুপুরের দিকে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হয়েছি। মনে মনে দুই ঘণ্টা জার্নির পরিকল্পনা। কিন্তু মোগড়াপাড়া পর্যন্ত যেতেই জ্যাম আটকে দিল পথ। এমনিতে ঢাকা থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে মেঘনা সেতুতে টোল দিতে হয়। আর ফেরার পথে দাউদকান্দি। যাওয়ার পথে মেঘনা সেতুর টোল প্লাজা পর্যন্ত যেতেই জান বেরিয়ে যাওয়ার দশা। অনেক সময় কোনো দুর্ঘটনা হলে যানজটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু সেদিন তি-চার কিলোমিটার যানজটের কোনো কারণ ছিল না। পিঁপড়ার গতিতে এগিয়ে দেখলাম, সব জ্যামের উৎস টোল প্লাজা। শেষ পর্যন্ত কুমিল্লা যেতে লাগল চার ঘণ্টা। সেখানে ঘণ্টা চারেকের পারিবারিক কাজ শেষে ফেরার পথে একই তিক্ত অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি হলো। মধ্যরাতেও মহাসড়কে যানজট। দাউদকান্দির সেতুর টোল প্লাজার জ্যাম শহীদনগর পর্যন্ত চলে এসেছে। ছেলেবেলার ফেরিঘাটে জ্যামের স্মৃতি ফিরে এলো যেন। ফেরার পথেও সব জ্যামের উৎস টোল প্লাজা। ছুটির দিনের বাড়তি গাড়ির চাপ সামলাতে পারেনি টোল প্লাজা।

টোল প্লাজায় এ যানজটের অভিজ্ঞতা অবশ্য শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নয়। সব টোল প্লাজায়ই কমবেশি জট লাগে। আমরা হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে আধুনিক, ডিজিটাল হাইওয়ে, এক্সপ্রেসওয়ে, এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে বানাব আর টোল নেব অ্যানালগ পদ্ধতিতে। তাহলে কোনো লাভ হবে না। উন্নয়নের সব গতি আটকে যাবে টোল প্লাজায়। আমি না হয় ব্যক্তিগত কাজে, ব্যক্তিগত গাড়িতে কুমিল্লা গেছি। যেতে আসতে বাড়তি চার ঘণ্টা সময় লেগেছে। বিরক্তি ছাড়া আমার কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু রপ্তানিমুখী পণ্যবাহী যানের যদি রাস্তায় চার ঘণ্টা বেশি সময় লাগে, তাহলে তা অর্থনীতির গতি শ্লথ করে দেবে। অগ্রগতির চাকা আটকে দেওয়ার জন্য আমাদের অনেক আমলাতান্ত্রিক কায়দা-কানুন আছে। অন্তত রাস্তাটা যদি একটু সচল রাখতে পারি, তাহলেও তো ক্ষতি একটু কম হয়।

হাইওয়েগুলো নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখার জন্য আলাদা পুলিশ আছে। গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সেই ক্যামেরায় কি উল্টো দিক থেকে আসা যানবাহনগুলো ধরা পড়ে না? আমার অভিজ্ঞতা হলো, উল্টো দিক এমন নির্বিঘ্নে গাড়ি চলে, মনেই হয় না এটা বেআইনি। এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশকে কঠোর হতে হবে। টোল প্লাজায় ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা আনতে হবে। একটি নিরাপদ ও সচল সড়ক এখন সবার চাওয়া।

মরক্কো যাচ্ছেন শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আযহারী

0
শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আযহারী
শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আযহারী

মরক্কোর বাদশাহ মুহাম্মাদ (ষষ্ঠ)-এর দাওয়াতে রাজপ্রাসাদে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করার জন্য রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে যাচ্ছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানী রাবাতের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।

রাজপ্রাসাদ ছাড়াও তিনি মরক্কোর বিভিন্ন ঐতিহাসিক মসজিদে কোরআন তিলাওয়াত করবেন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাসে মরক্কোর বাদশাহর অতিথি হয়ে মরক্কো সফর করেন।

রমজান মাসে মরক্কোর বাদশাহ মুহাম্মাদ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্কলারদের রাজপ্রাসাদে দাওয়াত করে ঐতিহাসিক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন।

 

নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন,অধ্যাপক আবু তাহের

0
উপাচার্য অধ্যাপক আবু তাহের
উপাচার্য অধ্যাপক আবু তাহের

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক তাহেরকে এই নিয়োগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

অধ্যাপক আবু তাহের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য শিরীণ আখতারের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার ও সহ-উপাচার্য বেনু কুমার দের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে তাঁকে এই গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটি তিনি সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা নিয়ে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন। আর শিক্ষা ও গবেষণাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন।

২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ

0
সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ
সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ

সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে লংকানরা। ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে তারা সংগ্রহ করে ২৩৫ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০১ রান করেন লিয়ানাগে। বাংলাদেশের হয়ে ৪২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ।

জবাবে ৪০ ওভার ২ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছেন তানজিদ তামিম। ১৮ বলে অপরাজিত ৪৮ রান করেছেন রিশাদ হোসেন।

সিরিজে প্রথমবার খেলতে নামা দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও এনামুল হক বিজয় দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন। ৪৭ বলে প্রথম ফিফটির দেখা পায় বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরই ফিরেছেন বিজয়।

নবম ওভারের দ্বিতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথে করেছিলেন লাহিরু কুমারা, সেখানে কভার ড্রাইভ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন এক্সট্রা কভারে দাঁড়িয়ে থাকা আভিষ্কা ফার্নান্দোর হাতে। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২২ বলে ১২ রান।

তিনে নেমে আজ ব্যর্থ হন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লাহিরুকে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে খোঁচা দিয়েছেন শান্ত। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে ৫ বলে এসেছে ১ রান।

গত ম্যাচে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছিলেন তাওহীদ হৃদয়। অপরাজিত ছিলেন ৯৬ রানে। আজকের ম্যাচেও ভালো শুরু করেছিলেন। তবে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন না। সাজঘরে ফিরেছেন বাজে এক শটে। লাহিরুর খাটো লেংথের বল টেনে পুল করতে গিয়ে ভুল করেছেন হৃদয়। ডিপ ব্যাকওয়াড স্কয়ারে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৬ বলে ২২ রান।

ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে ব্যর্থ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মুশফিকের আগে উইকেটে এসে এদিন ৪ বলে ১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।

ফিল্ডিংয়ে সৌম্য সরকার ঘাড়ে আঘাত পেয়েছিলেন। যে কারণে আর ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি। তার কনকাশন বদলি হিসেবে ইনিংস ওপেন করতে নেমেছিলেন তানজিদ তামিম। সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগান এই তরুণ ওপেনার। এক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও আরেক প্রান্তে বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন তামিম। ৫১ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি। এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে কাটা পড়েন ৮৪ রানে।

তামিম ফেরার পর দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম। মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। মিরাজ ২৫ রান করে সাজঘরে ফিরলে ১৭৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ।

তবে এদিন উইকেটে এসে রীতিমতো ঝড় তোলেন রিশাদ। তার ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যায় লঙ্কান বোলিং লাইনআপ। ৫ চার আর ৪ ছক্কায় ১৮ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংস খেলে একটু আগেভাগেই দলের জয় নিশ্চিত করে দেন রিশাদ। অপর প্রান্তে আস্থার প্রতীক হয়ে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। ৫৮ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

এর আগে ম্যাচের শুরুতে বল হাতে দারুণ করেছেন বাংলাদেশের পেসাররা। বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ বেশ সুইং পেয়েছেন। এই পেসারের সুইংয়ে চোখে রীতিমতো সর্ষে ফুল দেখেছেন পাথুম নিশাঙ্কা! ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলটি ফুললেংথে করেছিলেন তাসকিন। সেখানে ডিফেন্ড করতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি নিশাঙ্কা, বল সরাসরি তার প্যাডে লেগেছে। তাতে লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবোরো। যদিও বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় মিস করে যেত লেগ স্টাম্প।

নিজের করা পরের ওভারেও উইকেট পেয়েছেন তাসকিন। এবার বাইরের দিকে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়েছেন আভিষ্কা ফার্নান্দো। ক্যাচ জমা পড়েছে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ৪ রানে এই ওপেনারকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন তাসকিন।

১৫ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর সাদিরা সামারাবিক্রমাকে নিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন কুশল মেন্ডিস। তবে সামারাবিক্রমা ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি। এই ইনফর্ম ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। সিরিজে প্রথমবার ম্যাচ খেলতে নেমে নিজের প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার।

মুস্তাফিজের মতোই প্রথম দুই ওয়ানডেতে একাদশের বাইরে ছিলেন রিশাদ হোসেন। আজ সুযোগ পেয়ে বল হাতে দুর্দান্ত শুরু করেন এই লেগ স্পিনার। নিজের প্রথম বলেই ফেরান উইকেটে সেট হওয়া কুশল মেন্ডিসকে।

ইনিংসের ১৮তম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে আসেন রিশাদ। তার করা প্রথম বলটি অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরে পড়ে টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় খোঁচা দিয়েছিলেন কুশল মেন্ডিস। ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল চলে যায় মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ২৯ রান করা মেন্ডিসকে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে নিজের অভিষেক উইকেট পেলেন রিশাদ। এর আগে আরও দুই ওয়ানডে খেললেও ছিলেন উইকেট শূন্য।

 

 

নিপুণের প্যানেলের সভাপতি মাহমুদ কলি

0

আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। সভাপতি প্রার্থী হচ্ছেন না তিনি। এরপর খবর রটে কাঞ্চন সরে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সংগঠনটির বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার। তবে বিষয়টি উড়িয়ে নায়িকা জানান সভাপতি প্রার্থী খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

এবার জানা গেল নিপুণের প্যানেলের সভাপতি প্রার্থীর নাম। নিপুণের প্যানেল থেকে সভাপতি নির্বাচন করবেন এক সময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি। সংবাদমাধ্যমকে এ কথা মাহমুদ কলি নিজেই জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এর আগেও আমি শিল্পী সমিতির নির্বাচন করে বিজয়ী হয়ে দায়িত্ব পালন করেছি। এবারও নির্বাচনে অংশগ্রহন করছি। সভাপতি পদে নির্বাচন করব।’

কোন প্যানেল থেকে আসছেন মাহমুদ কলি? এ প্রশ্নের জবাবে অভিনেতা বলেন, ‘আসলে আমি একটি প্যানেলের হয়ে নির্বাচন করছি। সেই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লড়বেন নিপুণ আক্তার।’

সভাপতি প্রসঙ্গে এর আগে নিপুণ বলেছিলেন, ‘কোনো চাপ নেই। গতবার তো শূন্য থেকে এই জায়গায় এসেছি। আর এবার তো আমার তৈরি মাঠ। সভাপতি প্রার্থী ঠিকঠাক হয়ে গেছে। তবে এখনই প্রকাশ করব না। তাহলে সেটি নিয়েও রাজনীতি হতে পারে। নির্বাচন এখনও অনেক দেরি। সময়মতো পুরো প্যানেল প্রকাশ করব।’

আগামী ২৭ এপ্রিল এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও মিশা সওদাগর থাকবেন এক প্যানেলে। তারা মাহমুদ কলি-নিপুণের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

পল্লবীতে রাসেল হত্যা: কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্য গ্রেফতার

0

রাজধানীর পল্লবীতে ফয়সাল ওরফে রাসেল নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্লবী থানার ওসি অপূর্ব হাসান।

ওসি জানান, গ্রেফতার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও জানান, দুই কিশোর গ্যাং গ্রুপের দ্বন্দ্বের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে আছে।

গত শনিবার সন্ধ্যার পর রাব্বী গ্রুপের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সামী গ্রুপের সদস্য রাসেলের ওপর হামলা চালায়। তারা ওই সময় একটি ইফতারে অংশ নেওয়ার জন্য যাচ্ছিল। পথে অতর্কিত হামলা চালিয়ে রাসেলকে কোপালে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। আহত হন আরও একজন।

এ ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করে নিহতের পরিবার। সেই মামলায় দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

জয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আইসিটি বিপ্লব হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের

0

সজীব ওয়াজেদ জয়ের তার নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটা নিঃশব্দ বিপ্লব হচ্ছে, আইসিটি বিপ্লব। বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ৭৫ যখন ফিরে যাই, জাতির পিতার রক্তাক্ত লাশ ৩২ নম্বরের পড়েছিল সিঁড়িতে, সেই লাশ ২দিন পর টুঙ্গিপাড়া ৫৭০ সাবান আর রিলিফের কাপড় বঙ্গবন্ধু দাফনে ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৮/১৯ লোককে জানাজা পড়ার অনুমতি দিয়েছিল। টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুকে দাফন দিয়ে তারা ভেবেছিল, বঙ্গবন্ধুকে মানুষ ভুলে যাবে। তাদের হিসাবের অংক কত যে ভুল, আজ টুঙ্গিপাড়া বাঙালির তীর্থকেন্দ্র।

তিনি আরো বলেন, আজকে জাতির পিতার কাছে আমরা কী শিখবো? আমাদের রাজনীতিতে আমরা কীভাবে শিক্ষাগ্রহণ করব, আমাদের রাজনীতিতে কী যোগ্যতা প্রয়োজন আমরা সেটা কীভাবে শিখবো? আমি বলবো, এদেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা ও সাহস, রাজনীতির প্রধান দুটি গুণ। একটি পরিবার ক্ষমতার ১৫ বছরে ক্ষমতার কোনো বিকল্প সেন্টার এই পরিবার করেনি। এদেশে হাওয়া ভবন নেই। এই পরিবারের সন্তানেরা মেধাবী। যে যেখানে আছে সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই পরিবার সততার প্রতীক।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডবোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।

লিয়ানাগের শতকে লড়াকু পুঁজি লঙ্কানদের

0
Sri Lanka's Janith Liyanage plays a shot during the third and last one-day international (ODI) cricket match between Bangladesh and Sri Lanka at the Zahur Ahmed Chowdhury Stadium in Chittagong on March 18, 2024. (Photo by MUNIR UZ ZAMAN / AFP) (Photo by MUNIR UZ ZAMAN/AFP via Getty Images)

ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে জিতলেও দ্বিতীয়টিতে হেরে যায় বাংলাদেশ। ফলে তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচটিই হয়ে দাঁড়িয়েছে সিরিজ নির্ধারণী। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টসে হেরে আগে বল করতে নামে টাইগাররা। বল হাতে শুরুতেই দুই লঙ্কান ওপেনারকে ফিরিয়ে দুর্দান্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ, পরে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিলেন মোস্তাফিজ-মিরাজ-রিশাদরা, ফলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে লঙ্কানরা। তবে ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আজ সফরকারীদের হয়ে একাই লড়াই করেছেন জানিথ লিয়ানাগে। টাইগার বোলারদের তোপের মুখে দারুণ এক ফিফটিতে দলের বিপর্যয় সামলেছেন তিনি, একই সঙ্গে অষ্টম উইকেটে মাহেশ থিকসানার সঙ্গে গড়েন ৬০ রানের জুটি। লঙ্কান এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত তুলে নিয়েছেন নিজের ব্যক্তিগত শতকও। তাঁর ১০১ রানের ইনিংসের সুবাদেই নির্ধারিত ৫০ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৩৫ রানের সংগ্রহ গড়ে লঙ্কানরা।

টসে হেরে টাইগারদের হয়ে বল হাতে ইনিংসের সূচনা করেন শরিফুল ইসলাম। টাইগার পেসারের করা প্রথম ওভারে স্কোরবোর্ডে ১ রান যোগ করতে সক্ষম হয় দুই লঙ্কান ওপেনার। এরপর দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসেন আরেক পেসার তাসকিন। তাসকিনের করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম দুইটি বল দেখেশুনেই খেলেছিলেন আগের ম্যাচে শতক হাঁকানো লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। তবে তৃতীয় বলেই লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন তিনি। ফলে ফিরতে হয়েছে ১ রানেই।

এদিকে নিজের করা দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে আরেক লঙ্কান ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দোকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। চতুর্থ ওভারে টাইগার স্পিডস্টারের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে আউট হন ফার্নান্দো।

ফার্নান্দো ফেরার পর ক্রিজে মেন্ডিসের সঙ্গী হন সাদিরা সামারাবিক্রমা। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর এ দুজন মিলে ইনিংসের হাল ধরেন। দুজন মিলে গড়েন ২৬ রানের জুটি। তবে একাদশ ওভারে বোলিংয়ে এসেই সামারাবিক্রমাকে সাজঘরে ফেরান মোস্তাফিজ। টাইগার এই পেসারের বলে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসবন্দী হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন লঙ্কান এই ব্যাটার।

এরপর ক্রিজে অধিনায়ক মেন্ডিসের সঙ্গী হন চারিথ আসালাঙ্কা। এ দুজন মিলে টাইগার বোলারদের দেখেশুনে খেলে গড়েছিলেন ৩৩ রানের জুটি। তবে অষ্টাদশ ওভারে নিজের প্রথম বলেই মেন্ডিসকে সাজঘরের পথ দেখান রিশাদ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তাঁর প্রথম এটি। তরুণ এই লেগ স্পিনারের বলে সাজঘরে ফেরার আগে ৫১ বল খেলে ২৯ রান করেছেন মেন্ডিস।

মেন্ডিস ফেরার পর ক্রিজে আসালাংকার সঙ্গী হন জানিথ লিয়ানাগে। এ দুজন মিলে টাইগার বোলারদের দেখেশুনে খেলে সচল রেখেছিলেন রানের চাকা। দুজন মিলে জুটি গড়ে স্কোরবোর্ডে তুলেন ৪৩ রান। তবে পচিশতম ওভারে মোস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে উইকেটরক্ষকের মুঠোবন্দী হন আসালাঙ্কা। দলীয় ১১৭ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ৪৬ বল খেলে ৫ চারে ৩৭ রান করেছেন লঙ্কান এই ব্যাটার।

এরপর ব্যাট করতে নেমে দুনিথ ওয়াল্লালেগেও ফিরেছেন দ্রুতই। মিরাজের বলে সৌম্য সরকারের মুঠোবন্দী হন তিনি। লঙ্কান এই ব্যাটারকে ফেরানোর পর হাসারাঙ্গাকেও সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন মিরাজই।

এদিকে একপ্রান্তে যাওয়া-আসার খেলা চলতে থাকলেও অপরাপ্রান্তে আজ লঙ্কানদের হয়ে বিপর্যয় সামলেছেন লিয়ানাগে। দলীয় ৭৪ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর ক্রিজে নামেন তিনি। এরপর একে একে তিনি জুটি গড়েছেন আসালাঙ্কা, ওয়াল্লালেগে, হাসারাঙ্গা এবং থিকসানার সঙ্গে। টাইগার বোলারদের সামলে ৬৫ বলে তুলে নিয়েছেন নিজের ব্যক্তিগত অর্ধশতক।

অষ্টম উইকেটে থিকসানাকে সঙ্গে নিয়ে আজ দারুণ এক জুটি গড়েন লিয়ানাগে। দুজন মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৬০ রান। এই জুটিতেই ম্যাচে ফিরে লঙ্কানরা। তবে ৪৮ ওভারে সৌম্যর বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন থিকসানা। তবে শেষ পর্যন্ত আজ অপরাজিত ছিলেন লিয়ানাগে, দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে তুলে নিয়েছেন নিজের অর্ধশতকও। তাঁর ১০১ রানের ইনিংসের সুবাদেই অলআউট হওয়ার আগে ২৩৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। টাইগারদের হয়ে আজ বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, ২টি করে উইকেট পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান এবং মেহেদী মিরাজ।