সোমবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৫
সোমবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৫
22 C
Dhaka

রাজধানীতে জনসভার অনুমতি পেল আওয়ামী লীগ

0

রাজধানীতে ধানমন্ডির কলাবাগান মাঠে ১ জানুয়ারি নির্বাচনী জনসভা করার অনুমতি পেল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ অনুমতি দেয়া হয়। এর আগে দলের পক্ষ থেকে সমাবেশের অনুমিতি চেয়ে আবেদন করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন এবং নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা অনুসরণের শর্তে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আগামী ১ জানুয়ারি দুপুর ২টায় ধানমন্ডির কলাবাগান মাঠে নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠানের বিষয়ে অনাপত্তি জ্ঞাপন করা হলো।

নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

0

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ছয় জেলার নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন প্রান্ত থেকে এসব জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে অংশ না নিলে ভোট অংশগ্রহণমূলক হবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি না। নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নানা ষড়যন্ত্র আছে।

বুধবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিনি পর্যায়ক্রমে ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর ও শেরপুর, ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর ও বান্দরবান জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন।

কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়, সংশ্লিষ্ট জেলা, উপজেলা, থানা, পৌর ও ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকার দলীয় প্রার্থীরা উপস্থিত আছেন।

এর আগে ২১ ডিসেম্বর পাঁচটি এবং ২৩ ডিসেম্বর ছয় জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ ও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এক মাসে রিজার্ভ বাড়লো ২ বিলিয়ন ডলার

0

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানামুখী তৎপরতা ও রেমিট্যান্স প্রবাহে দেশে বাড়তে শুরু করেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। মাসের শুরুতে ১৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে যাওয়া এই রিজার্ভ উন্নীত হয়েছে এখন ২১ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। ফলে মাসের ব্যবধানে বাড়ল প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনের এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্তানুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ ২১ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন। এক মাস আগে গত ২৯ নভেম্বর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী ছিল ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে এক মাসে রিজার্ভ বেড়েছে ২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার।

রিজার্ভ বাড়ার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জানান, আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি এসেছে। এছাড়া এডিবি থেকে ৪০০ মিলিয়ন, সাউথ কোরিয়ার একটা ফান্ড থেকে ৯০ মিলিয়নসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার দেয়া অর্থ এ মাসে এসেছে। সঙ্গে রে‌মিট্যান্স প্রবাহ ই‌তিবাচক র‌য়ে‌ছে। সব মিলিয়ে রিজার্ভ ভালো অবস্থায় ফিরছে।

রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ থেকে যে ডলার পাওয়া যায় তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তৈরি হয়। আবার আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে যে ব্যয় হয়, তার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা চলে যায়। এভাবে আয় ও ব্যয়ের পর যে ডলার থেকে যায় সেটাই রিজার্ভে যোগ হয়। আর বেশি খরচ হলে রিজার্ভ কমে যায়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিল ২৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫-১৬ তে ৩০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন। ২০২০-২১ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৪৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং সব শেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৩১ বিলিয়ন ডলার।

নৌকাকে প্রতিরোধ করার সাধ্য কারো নাই: আব্দুস সবুর 

0

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা -১ আসনের নৌকার মাঝি ইঞ্জি. আবদুস সবুর বলেন, সরকারি পয়সা চলেন, সরকারি বাসায় থাকেন, নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এই মার্কা আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছে। এই নৌকার কারণে বঙ্গবন্ধুর কন্যা নেতৃত্বে উন্নয়নের রোল মডেলে, সারা বিশ্বের বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে, এই নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান করা, এই নৌকাকে প্রতিরোধ করার সাধ্য কারো নাই।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার তিতাস উপজেলা ভিটিকান্দি ইউনিয়নে নৌকার প্রচারণার পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নৌকার উপর যদি কেউ আঘাত আনতে চায়, আমরা অতীতেও দেখেছি অনেক বড় বড় নেতা নৌকাকে আঘাত করে ডাস্টবিনে নিক্ষিপ্ত হয়েছে, আর আপনার তো পাতি নেতাও না। আপনাদের কেউ ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করা হবে।।

ইঞ্জিনের আব্দুস সবুর বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা ১২টি ইউনিয়নের সভা করেছি আজকের ১৩ নম্বর ইউনিয়নের পথসভা করছি, আমরা দেখেছি মানুষের উচ্ছ্বাস আনন্দ, আমরা দেখেছি অনেক উদ্দীপনা, আপনারা পথসভা কে জনসভায় রূপান্তরিত করেছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে আমার মা বোনেরা, তোমার ভাই ও ছেলেরা, আমার যুবক তরুণ পেশাজীবী ভাইয়েরা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের স্বাগত জানিয়ে আজকে রাস্তায় নেমে এসেছে। আপনারা পথসভাকে জনসভা রুপ দিয়েছেন।

মা বোনদের উদ্দেশ্য করে ইঞ্জিনিয়কর আব্দুস সবুর বলেন, যেদিন থেকে সরকার গ্যাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিবে, সেদিন থেকেই আপনাদের এখানে গ্যাস দেওয়া হবে। স্কুল কলেজ পরিকল্পিত উপায়ে সংস্কার করা হবে। গ্রাম পর্যায়ে সব রাস্তা পাকা করা হবে। উন্নয়নের স্বার্থে আমরা একটি শিক্ষা বান্ধব দুই উপজেলা গড়ে তুলবো। আমরা সুযোগ পেলে তিতাস দাউদকান্দিতে মেডিকেল কলেজ করা হবে। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট করা হবে। ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করা হবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে জ্ঞান-বিজ্ঞানে শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে তার জন্য আইটি ভিলেজ তৈরি করা হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা কুমিল্লা-১ আসনে ২৪৯ নম্বর বগির যাত্রী, আমরা কুমিল্লা সব আসনের মধ্যে এক নম্বর হতে চাই। ইতিমধ্যে একটা জরিপ হয়েছে, এই জরিপে আপনারা আমরা সকলেই দল মত নির্বিশেষে শেখ হাসিনার নৌকাকে ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আসে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কুমিল্লা -১ (দাউদকান্দি -তিতাস) আসনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিযে পথসভা করছেন নৌকার মাঝি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর। সকাল থেকেই  তিতাস উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নে পথসভা করছেন তিনি। এসময় তিনি কাশিপুর, রঘুনাথপুর, দড়িকান্দি হইয়া দুলারামপুর বাজারে পথসভা করেন। এছাড়া তিনি মানিককান্দি, রতনপুর, দাসকান্দি, পোড়াকান্দি, নারান্দিয়ার আসমানিয়া বাজার, ভিটিকান্দি ইউনিয়নের দুলারামপুর বাজার, দাসকান্দি ও আনন্দ বাজারে পথসভা ও গণসংযোগ করেন।

এসময় পথসভায় অংশ নেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী  লীগের সদস্য মো. আনিসুর রহমান সরকার, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেন ফারুক, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাংবাদিক শাহজাহান, সদস্য নাসির উদ্দিন, শেখ ফরিদ প্রধান, তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মুন্সী, তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন ভূইয়া, তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মীর শওকত লিটন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. মোসলেম মিয়া, প্রচার সম্পাদক জাকির মুন্সি, ভিটিকান্দি সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা।

এছাড়া কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য দেলোয়ার হোসেন পলাশ, কুমিল্লা উত্তর জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শের ই আলম, কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন বাবু প্রমুখ।

বিএনপির দেশ অচলের হুমকি ইস্যুতে যা বললেন ডিবি প্রধান

0

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, দেশ অচলে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে বিএনপির কর্মসূচি আমরা আমলে নিচ্ছি না। অনেক ঘোষণাই আমরা অতীতে শুনেছি। অতীতেও আমলে নেইনি, ভবিষ্যতেও এ ধরনের ঘোষণা আমলে নেবো না।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, একসময় বাসে, বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও পুলিশের ওপর হামলা করেছে। আমরা সবসময় মানুষের জান-মালের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সবকিছু করে থাকি। হামলাকারীদের অনেককেই আমরা গ্রেপ্তার করেছি। যাতে করে দুর্বৃত্তরা দুর্বৃত্তায়ন, নাশকতা চালাতে না পারে।

ডিবি প্রধান বলেন, নির্বাচন ঘিরে মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে, সেটি যাতে না হয় সেজন্য আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আমাদের সব পুলিশ সদস্য, যার যা দায়িত্ব তা পালন করে যাচ্ছি।

এত নিরাপত্তার মাঝেও তেজগাঁওয়ে যারা আগুন দিলো তাদের চিহ্নিত করে কেন গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না? এমন প্রশ্নে হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা অধিকাংশ ঘটনায় আপ্রাণ চেষ্টা করি শনাক্ত করার জন্য। বেশিরভাগ ঘটনায় শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের টিম কাজ করছে। আমাদের হাতে আলাদিনের চেরাগ নেই যে কালই ধরে ফেলবো। যেকোনো সময় ট্রেনে অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে।

ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফি‌রলেন পিটার হাস

0

ভারতের নয়াদিল্লিতে বড়দিনের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকায় পৌঁছান তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ের এক‌টি সূত্র এ তথ্য নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছে।

গত ২২  ডিসেম্বর সস্ত্রীক দিল্লি যান পিটার হাস। তার আগের দিন (২১ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে তিনি প্রায় আধা ঘণ্টা বৈঠক করেন। এছাড়া গত ৩০ নভেম্বর পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সে সময় তাদের মধ্যে হওয়া বৈঠকটি প্রায় দেড় ঘণ্টা স্থায়ী হয়।

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে কয়েক মাস ধরেই বেশ দৌড়ঝাপ করতে দেখা গেছে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তির সময় ছিল ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দের সময় ছিল ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। চলবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি।

আমার ওপরে সারাবিশ্বের ক্যামেরা ফিট করে রেখেছে: আইনমন্ত্রী

0

আমার ওপরে সারাবিশ্বের ক্যামেরা ফিট করে রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, কোন মিয়া সাহেব নাকি বলেছেন, যত ভোট দিবে পুরস্কার পাবে। আমি কিন্তু এমন কথা বলিনি। অথচ, খবরে লিখে দিয়েছে আমি নাকি এমন কথা বলেছি। সে জন্যই বললাম ক্যামেরাটা ধরা আছে আমার ওপরে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

টানা তৃতীয়বারের মতো এবারও আখাউড়া ও কসবা উপজেলা নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আনিসুল হক।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যেহেতু ভোট ছাড়াই পাস করার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে, তাই তারা জনগণকে ভোটকেন্দ্রে যেতে মানা করছে। আমি বিশ্বাস করি আপনারা আপনাদের অধিকার সম্পর্কে জ্ঞাত আছেন, আপনারা আপনাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চান। আপনারা যদি আমাকে সত্যিকারের ভালোবাসেন তাহলে আগামী ৭ জানুয়ারি কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।

তিনি বলেন, যখন নির্বাচন হতো তখন বিএনপি-জামায়াতের লোকজন এলাকায় গিয়ে বলতো আপনারা আমাকে ভোট দেবেন? ভোট দিলে হাত তুলেন। তাদের মাস্তানদের ভয়ে মানুষ হাত তুলতো। তারপর বলতেন আপনারা হাত তুলেছেন, আমি ভোট পেয়ে গেছি, আপনাদের আর কেন্দ্রে যেতে হবে না। এখন সেই জামানা চলে গেছে।

আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান নান্নুর সভাপতিত্বে জনসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি-জামায়াতের কাজই মানুষ পোড়ানো, নির্বাচন ধ্বংস করা: প্রধানমন্ত্রী

0

বিএনপি-জামায়াতের কাজই মানুষ পোড়ানো, নির্বাচন ধ্বংস করা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, নির্বাচিত ও গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে উন্নয়ন হয়। ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ক্ষমতায় আছি বলেই বাংলাদেশ উন্নত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, চাঁদপুর ও বান্দরবানে জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ৭৫ এর পর অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার জন্য জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়ার সংস্কৃতি চালু করেছিলো জিয়াউর রহমান। তখন স্বাধীনতাবিরোধীদের সমন্বয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপরীত ধারায় চলতে থাকে দেশ।

তিনি আরও বলেন, ‘গ্যাস বিক্রির চক্রান্ত করে ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে বিএনপি। নির্বাচনবিরোধী কাজ করে চলেছে বিএনপি। মা-শিশুকে এমনভাবে হত্যা সহ্য করা যায় না। এরা সবসময় নির্বাচন বানচালের তালে থাকে। কিন্তু নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না, এটাই বাস্তবতা।’

উন্নত জীবনের ধারা অব্যাহত রাখা এবং নতুন প্রজন্মেকে নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা দেশকে এগিয়ে নিতে পারেনি বরং পিছিয়ে দিয়েছিলো। একমাত্রই আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসলে অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে পারবে। নৌকায় ভোটের জন্য ঘরে ঘরে, দুয়ারে দুয়ারে যাবেন। ভোট চাইবেন, যেন নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সেবা করার সুযোগ দেয়।

২০১৪ থেকে ২০১৮ সালে মানুষ ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিলো বলেই, দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই কেবল দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পারবে। এবারের নির্বাচন নিয়ে জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে অনেক চক্রান্ত হচ্ছে। তাই নির্বাচনী পরিবেশটা যাতে সুন্দর থাকে, উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ হয়; সেই দিকে সবাই খেয়াল রাখবেন।

৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকি ফুডপান্ডার।

0
নিজস্ব প্রতিবেদক | জনতা মেইল
নিজস্ব প্রতিবেদক | জনতা মেইল

সূত্র জানায়, আইন অনুযায়ী কমিশনের ওপর ১০ শতাংশ উৎসে কর পরিশোধ করতে হয়। অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো এ অর্থ পরিশোধ করছে না। সর্বশেষ একটি অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উৎসে কর দেওয়ার বিষয়ে বা আইনের স্পষ্টীকরণ করতে এনবিআরের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। এ মতামতে আইন অনুযায়ী ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর পরিশোধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এনবিআরের আয়কর বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি কমিশনের ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর হবে। যারা এ কর পরিশোধ করবে না বা কৌশলে এড়িয়ে যাবে, তারাই ফাঁকি দিচ্ছে। এটাকে স্পষ্ট কর ফাঁকি বলেও মনে করেন এ কর্মকর্তা।

ফুডপান্ডা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৭০ হাজার অর্ডার ডেলিভারি হয় এ প্রতিষ্ঠানের। আর প্রতিষ্ঠানটির কমিশন ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। সেই হিসাবে গড় কমিশন ২০ শতাংশ। তবে তাদের অর্ডারের গড় মূল্য বলেনি সংশ্লিষ্টরা। ফুড ডেলিভারি খাত-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফুডপান্ডার অর্ডারের গড় মূল্য প্রায় সাড়ে ৩০০ টাকা। সেই হিসাবে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা সমমূল্যের অর্ডার ডেলিভারি করে তারা, যা মাস শেষে দাঁড়ায় ৭৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে কমিশন বাবদ প্রতিষ্ঠানটি পায় প্রতি মাসে ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর মূলত উৎসে কর হবে এ কমিশনের ওপর। এর থেকে ১০ শতাংশ হারে উৎসে করের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৪৭

লাখ টাকা। অর্থাৎ মাস শেষে প্রতিষ্ঠানটির উৎসে কর বাবদ এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে, যা পরিশোধ করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু কর পরিশোধ নয়, ছোট অর্ডারের ক্ষেত্রে খাবারের দাম থেকে কমিশন ফি দ্বিগুণ হয়ে যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় নিউমার্কেটের একজন গ্রাহক লালবাগের ওয়াফাস কাবাব ফ্রন্ট থেকে ফুডপান্ডার মাধ্যমে একটি অর্ডার করেন। এই অর্ডারে তিন ধরনের ফি নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে ডেলিভারি ফি, স্মল অর্ডার ফি এবং প্ল্যাটফর্ম ফি। ছোট এই অর্ডারের ক্ষেত্রে পণ্যের দামের তুলনায় তিন ধরনের ফি পরিশোধের কারণে খাবারের দাম থেকে দ্বিগুণ বেশি ফি পরিশোধ করতে হয়েছে।

ফুডপান্ডা বাংলাদেশের সিইও আমবারিন রেজার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি লিখিত প্রশ্ন পাঠাতে বলেন। কালবেলার পক্ষ থেকে উৎসে কর এবং প্ল্যাটফর্ম চার্জের বিষয়ে প্রশ্ন পাঠালে তার কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

শুধু আয়করে নয়, ভ্যাটেও বড় ধরনের অনিয়ম করেছে ফুডপান্ডা। দেশের প্রায় পাঁচ হাজার দোকান থেকে অর্ডারের মাধ্যমে সংগ্রহ করে ভোক্তার কাছে খাবার সরবরাহ করে ফুডপান্ডা। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ফুডপান্ডার চুক্তিও রয়েছে; যার আওতায় ফুডপান্ডা বিভিন্ন হারে কমিশন নেয়। বহুজাতিক এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করে ভ্যাট ও কর ফাঁকি দিয়ে আসছিল। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআরের নির্দেশে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় ভ্যাট গোয়েন্দারা। ভ্যাট গোয়েন্দার একটি টিম ফুডপান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ভ্যাট গোয়েন্দা দল বড় অঙ্কের ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পায়। প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ও কর্মকর্তাদের ল্যাপটপ তল্লাশি করে প্রতিষ্ঠানের মাসিক বিক্রয়ের কিছু গোপন তথ্য পায়। গোয়েন্দারা সেই বিক্রয় তথ্যসহ আরও কিছু বাণিজ্যিক দলিলাদি জব্দ করে। এসব নথিপত্র বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে প্রায়প্রমাণ মেলে। পরে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা হলে তা যাচাই করে ভ্যাট গোয়েন্দারা। এতে সুদসহ প্রায় ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা নির্ধারিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির মামলা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট ফাঁকির বিষয়টি মেনে নিয়ে ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে মামলা থেকে মুক্তি পায়। পরবর্তী সময়ে ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (দক্ষিণ) অনলাইনে রিটার্ন জমার তথ্য আড়াআড়ি যাচাই করে ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণেও মেলে ফুডপান্ডার নাম।

জানা যায়, ফুডপান্ডা অনলাইনে খাবার অর্ডার করার বহুজাতিক কোম্পানি। এটির প্রধান সদর দপ্তর জার্মানির বার্লিন শহরে। বর্তমানে ফুডপান্ডা বাংলাদেশসহ ১১টি দেশে অনলাইনে খাবারের অর্ডার গ্রহণ ও ডেলিভারি করে। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশগুলো হলো বুলগেরিয়া, কম্বোডিয়া, হংকং, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, রোমানিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড ও জাপান। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে জার্মানির ডেলিভারি হিরো নামক প্রতিষ্ঠানটি ফুডপান্ডা গ্রুপকে কিনে নেয়। বর্তমানে এটি তাদের দ্বারাই পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে ফুডপান্ডা সরাসরি নয়, ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশিদের মধ্যে পরিচালিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে রয়েছে রাজস্ব সংক্রান্ত নানা অনিয়মের অভিযোগ।

 

আওয়ামী লীগের ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ ১১ বিষয়ে অগ্রাধিকার

0

দ্রব্যমূল্য সকল মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা এবং কর্মসংস্থান বাড়ানোসহ ১১টি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এ ইশতেহার ঘোষণা করবেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ইশতেহার কমিটির প্রধান ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক সূচনা বক্তব্য দেন। এরপর বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

স্মার্ট বাংলাদেশ থিমে ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগানে ইশতেহার দেয় দলটি।

আওয়ামী লীগের এবারের ইশতেহারের স্লোগান- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’। এই ইশতেহারে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

২০০৮ সালের নব জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘দিনবদলের সনদ’ দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। সেই ইশতেহারে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ছিল দলটির।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির ইশতেহারের শিরোনাম ছিল ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। আর সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইশতেহারের শিরোনাম ছিল ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’।

এবার নির্বাচনে বিজয়ী হলে যে ১১টি বিষয়ে আওয়ামী লীগ অগ্রাধিকার দেবে সেগুলো হল:

১.দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।

২. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।

৩. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

৪. লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষিব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।

৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো।

৬. ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানো।

৭. নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।

৮. সর্বজনীন পেনশন-ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা।

৯.আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।

১০. সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।

১১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।