শনিবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫
শনিবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫
14 C
Dhaka

সারাদেশে বৈধ প্রার্থী ১৯৮৫, বাদ ৭৩১

0

আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে সারাদেশে প্রার্থীদের জমা দেয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ১৯৮৫ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ এবং ৭৩১ জনের প্রার্থিতা বাতিলের ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানান।

এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাতিল করা মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। ১০ ডিসেম্বর থেকে আপিল শুনানি শুরু হবে। চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ লক্ষ্যে ইসিতে ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি আলাদা আলাদা বুথ করেছে সংস্থাটি।

বাতিলের কারণ প্রসঙ্গে ইসির যুগ্ম সচিব মো. মাহবুবার রহমান বলেন, প্রার্থিতা বাতিলের অনেক কারণ আছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১ শতাংশ স্বাক্ষর সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে; ঋণ-বিল খেলাপি ও দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে অনেকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

ইসি সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক দলগুলো যে কয়টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তা হলো- আওয়ামী লীগ ২৯৮টি (পাঁচটি আসনে দুটি করে মনোনয়ন জমা দেয় দলটি), জাতীয় পার্টি ২৮৬টি (১৮টি আসনে দুইটি করে দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছে দলটি), তৃণমূল বিএনপি ১৫১টি, জাসদ ৯১টি, ইসলামী ঐক্যজোট ৪৫টি, জাকের পার্টি ২১৮টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ৩৯টি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ৩৩টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৩৪টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৩৭টি, গণফ্রন্ট ২৫টি, গণফোরাম ৯টি ও জমিয়তে ইসলাম বাংলাদেশ ১টি।

আরও রয়েছে, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ১৪২টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ২টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ১৩টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ৪৭টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) ২০টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল ০৬টি, গণতন্ত্রী পার্টি ১২টি, বাংলাদেশ ন্যশনাল আওয়ামী পার্টি ৬টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ ১৪টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল ১টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ১৩টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১৮টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ১টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ বিএমএল ৫টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ৭৪টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফ ৫৫টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ১১৬টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএম ৪৯টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ৮২। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৭৪৭ জন।

তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন। নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। এ ছাড়া ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি।

ঢাকার সাতটি আসনে ৩৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল

0

দ্বাদশ নির্বাচনে সামনে রেখে ঢাকার ৭টি আসনের ৩৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা সাবিরুল ইসলাম।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর)দুপুরে যাচাই-বাছাই শেষে ঢাকা-৪, ঢাকা-৫, ঢাকা-৬, ঢাকা-৭, ঢাকা-৮, ঢাকা-৯ ও ঢাকা-১০ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন তিনি।

সাবিরুল জানান, ঢাকা-৪ আসনে ১০টি মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৪টি বাতিল হয়েছে। ঢাকা-৫ আসনে ১০টি বৈধ ও নয়টি বাতিল এবং তিন প্রার্থীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত বাকি রয়েছে।

ঢাকা-৬ আসনে নয় জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধতা পেয়েছে। বাতিল হয়েছে দুটি। এই আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ডিএসসিসির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের স্ত্রী ফারহানা সাঈদ। স্বাক্ষর সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় রিটার্নিং অফিসার তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন।

ঢাকা-৭ আসনে ছয় জনের মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে। বাতিল হয়েছে পাঁচ প্রার্থীর। ডিএসসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিকের মনোনয়নপত্রও বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা সাবিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে মানিক তার ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি।

ঢাকা-৮ সংসদীয় আসনে ১১টি মনোনয়নপত্র বৈধ ও চারটি বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার। ঢাকা-৯ আসনে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীসহ আট জনের বৈধ মনোনয়নপত্র রয়েছে এবং বাতিল হয়েছে দুই জনের। বাকি তিন প্রার্থীর ফরমে অপর্যাপ্ত তথ্য থাকায় তাদের অবস্থা বিচারাধীন।

সাবিরুল ইসলাম আরও জানান, ঢাকা-১০ আসনে ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নায়ক ফেরদৌস আহমেদসহ তিন জনের বৈধ এবং আট জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

অবরোধের সমর্থনে পল্টনে ছাত্রদলের মিছিল

0

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা ও অবৈধ নির্বাচনী তফসিল বাতিলের দাবিতে ৯ম ধাপে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

সোমবার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড় থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত এ মিছিল করে তারা।

এতে নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব।

ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অবরোধের স্বপক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন। দৈনিক বাংলা মোড় থেকে পুলিশ মিছিলের ওপর হামলা চালায়। পরে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজীব মজুমদার, সহ সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ, আল মামুন, সম্পাদক জামিল মুরসালিন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি কাওছার আহম্মেদ রনি, সোহাগ চৌধুরী, সাকিব সরকার মাসুম, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন রুবেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রাকিব হোসেন খান, সুলতানা আক্তার মিম, মশিউর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

মনোনয়ন বৈধ তালিকায় টিকে গেছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস

0

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে নৌকার কাণ্ডারি হিসেবে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদের নাম ঘোষণার পর চারিদিকে শোরগোল পড়ে যায়। মাঠের রাজনীতিতে না থেকেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়। তবে এসব পেছনে ফেলে নির্বাচনে লড়ছেন জনপ্রিয় এই নায়ক। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

ঢাকা-১০ আসনে বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কে এম শামসুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী শাহরিয়ার ইফতেখার, তৃণমূল বিএনপির শাহনুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী রবিউল ইসলাম,স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফুল হাসান, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রার্থী এইচ এম মাসুম বিল্লাহ এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফন্টের বাহারানে সুলতান বাহার।

অন্যদিকে এই আসনে মনোনয়ন বৈধ হয়েছে জাকের পার্টির প্রার্থী হুমায়ন কবীর, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফেরদৌস আহমেদ এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাজী মো. শাহজাহানের।

এরপর সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফেরদৌস আহমেদ বলেন, আজকের দিনটি আমার জীবনের একটি বিশেষ মুহূর্ত। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে টেনশনে ছিলাম আমি কোথাও ভুল ভ্রান্তি করেছি কি না, আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায় কি না। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছি, আমি নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করবো।

বিএনপি নির্বাচনে না আসা প্রসঙ্গে ফেরদৌস বলেন, এটাটা তাদের সিদ্ধান্ত। তারা প্রতিযোগিতায় না এলে এখানে আমার কিছু বলার নেই। ‌তার ভাষ্য, যে কয়জন প্রার্থী ঢাকা- ১০ টাকা আসনে মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে তাদের মধ্যে এত প্রতিযোগিতামূল ইলেকশন হবে।

ভোটারদের উদ্দেশ্যে চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, আমি সবার কাছে অনুরোধ জানাবো আপনারা ভোটকেন্দ্রে আসুন এবং আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিন।

অবসরের তিন বছরের মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নয়: হাইকোর্ট

0

অবসরের তিন বছরের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জিনাত হকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

সরকারি চাকরি থেকে অবসরের তিন বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করা যাবে না- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) এমন বিধান কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না তা জানতে চেয়ে গত ১৯ জানুয়ারি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা কর্মকর্তার করা রিটের প্রাথমিক শুনানি এ রুল জারি করা হয়।

আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় সরকার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসককে বিবাদী রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

উল্লেখ্য, নির্বাচনে সরকারি চাকরিজীবীদের অযোগ্যতার বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২-এর ১২ (১) (চ) ধারায় বলা হয়, ‘প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনো চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসরে গমন করেছেন এবং উক্ত পদত্যাগ বা অবসর গমনের পর তিন বৎসর অতিবাহিত না হয়ে থাকে।’

এ বিধান চ্যালেঞ্জ করে অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম কামাল হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এসএম আজিম।

ইতিহাস গড়ে প্রোটিয়াদের উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

0

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে টাইগ্রেসরা। এ ম্যাচে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও মুর্শিদা খাতুনের দারুণ ব্যাটিংয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও গড়েছে বাংলাদেশ।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) বেনোনির উইলোমোর পার্কে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে দুই উইকেটে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশের মেয়েরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩৬ রানেই গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। এতে ১৩ রানে জয় পেয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

লক্ষ্য তাড়ায় দুর্দান্ত শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তানজিম ব্রিটস ও অ্যানেকে বস্ক। ম্যাচের শুরু থেকে ঝোড়ো গতিতে রান তাড়া করেন এ দুই ব্যাটার। ম্যাচের ১০ ওভারে এ জুটি ভাঙেন রাবেয়া খান। তার ঘূর্ণিতে মোস্তারির তালুবন্দী হন প্রোটিয়া দলপতি ব্রিটস। আউট হওয়ার আগে ৩০ করেন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন অ্যানেরে ডার্কসেন। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই ফাহিমার ঘূর্ণিতে কাটা পড়েন তিনি। তার বিদায়ে সান লুস ম্যাচের ব্যবধান গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন। অন্যপ্রান্তে ব্যাট হাতে টাইগ্রেসদের চোখে চোখ রাঙিয়ে লড়াই চালিয়ে যান বস্ক। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন প্রোটিয়াদের মিডল অর্ডার ও টেল এন্ডাররা। ম্যাচের ১৮তম ওভারে বস্কের বিদায়ে টাইগ্রেসরা জয়ের সুবাস পেতে থাকে। অবশ্য ডেলমি টাকারের ব্যাটে তখনো জয়ের স্বপ্ন দেখছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও কিছু করতে পারেননি।

এদিন ব্যাট হাতে ছয় প্রোটিয়া ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন স্বর্ণা আক্তার।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগ্রেস দলপতি নিগার সুলতানা জ্যোতি। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন শামীমা সুলতানা ও মুর্শিদা খাতুন। ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করে এ দুজন। এভাবে নির্বিঘ্নে ৭ ওভার কাটিয়ে দেন তারা। ম্যাচের সপ্তম ওভারের শেষ বলে এ জুটিতে আঘাত হানেন নন্দুমিসো। তাতে ২৪ রানেই সাজঘরে ফেরেন শামীমা। পরে উইকেটে আসেন সোবহানা মোস্তারী। তবে ঝোড়ো গতিতে রান তুলতে গিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। ম্যাচের ১৩তম ওভারে মার্কসের বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন এ ব্যাটার। আউট হওয়ার আগে ১৬ রান করেন।

এরপর বাইশ গজে আসেন টাইগ্রেস দলপতি নিগার সুলতানা জ্যোতি। তার সঙ্গে ৬৬ জুটি গড়েন মুর্শিদা খাতুন। সেই সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত ফিফটিও তুলে নেন মুর্শিদা। শেষপর্যন্ত তার ও জ্যোতির দুর্দান্ত ক্যামিওতে ১৪৯ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

প্রোটিয়াদের হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেন মার্কস ও নন্দুমিসো।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৪ দলের শরিকদের বৈঠক

0

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন জোটের প্রধান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) তরীকত ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে আলোচনা তোলা হবে। শরিকেরা ইতিমধ্যে যেসব আসন প্রত্যাশা করছেন এবং এর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্ব কোন কোন আসনে সেই সংক্রান্ত তালিকা জমা দিয়েছেন। এই তালিকা কালকের বৈঠকে জোটের সমন্বয়ক উপস্থাপন করবেন। এরপর শেখ হাসিনা তালিকা বিশ্লেষণ করে পরে সিদ্ধান্ত জানাবেন। তবে কালকের বৈঠকেই আসন সমঝোতা চুড়ান্ত হয়ে যাবে এমনটা নয়।

এ বিষয়ে জোটের শরিক বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, সিটের অ্যারেঞ্জম্যান্ট কেমন হচ্ছে, সেটা আলোচনার বড় বিষয়। আমরা শুধু ঢালাও আসন চাইব না। ভাবনায় থাকা আসনগুলো নিয়েও আলোচনা করা হবে। জোট থেকে বর্তমানে যারা সংসদ সদস্য রয়েছেন তাঁদের বিষয়েও কথা বলা হবে।

গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

0

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় এ ঘটনা ঘটে।

কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর আতাউর রহমান জানান, ঢাকা থেকে ইউসুফ পরিবহনের একটি বাস টাঙ্গাইলে যাচ্ছিল। বাসটি চন্দ্রা এলাকায় পৌঁছালে এক নারীসহ ১০-১২ জন যাত্রী ওঠেন। পরে চন্দ্রা ফ্লাইওভার এলাকা পার হওয়ার আগেই বাসে থাকা নারী ‘আগুন আগুন’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। আগুন দেখে তাৎক্ষণিকভাবে চালকসহ যাত্রীরা নেমে যান।

খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, আগুনে বাসটি পুড়ে গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভোটের আগে অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের নির্দেশ ইসির

0

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী ও ভোটারদের নিরাপত্তা, প্রচার-প্রচারণা নির্বিঘ্ন করতে এবং নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির পক্ষ থেকে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করতে এবং নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূলে রাখতে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের তালিকা করে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কথাও বলেছে ইসি।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) জারি করা ইসির পরিপত্র-৯ এ এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরিপত্রে বলা হয়, সব শ্রেণির ভোটার যাতে তাদের ভোটাধিকার নির্ভয়ে প্রয়োগ করতে পারেন তার নিশ্চয়তা দেওয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও স্থানীয় আস্থাভাজন কর্মীদেরও সঙ্গে নিয়ে একটি এবং প্রয়োজনে একাধিক বৈঠক আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে।

এতে বলা হয়, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আইন ও বিধিগত দিক উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করতে হবে। কারো কোনো অভিযোগ থাকলে তা অবিলম্বে তদন্ত করে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের ভোটার বিশেষ করে নারী ভোটারদের নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে ভোটদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাতে নেওয়া কার্যক্রম সম্পর্কে যেন সব শ্রেণির ভোটার আগে থেকে নিশ্চিত হতে পারেন, তা উপযুক্ত প্রচারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের জানাতে হবে।

এছাড়া, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসহ সবধরনের বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার পরিচালনা জোরদার করতে হবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের তালিকা প্রণয়ন করে চাঁদাবাজ, মাস্তান ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা করতে হবে। পর্যাপ্তসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন করতে হবে।

এছাড়া চিহ্নিত গোলযোগপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে বেশিসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

পরিপত্রে আরও জানানো হয়, অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাদের সমর্থকরা যাতে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলেন; কোনো উসকানিমূলক ও ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে এমন কার্যকলাপ বা বক্তব্য যেন না দেন; অর্থ, পেশিশক্তি অথবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা যেন কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে না পারেন; পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক যেন বজায় রাখা যায় তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা কামনা করতে হবে। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখন চলছে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। প্রতীক বরাদ্দের পর ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা।

 

আরও বাড়ল এলপি গ্যাসের দাম

0

ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করেছে সরকার। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৩৮১ টাকা থেকে ২৩ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রোববার বিকেল ৩টায় নতুন দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। যা আজ সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হবে। এর আগে নভেম্বর মাসে এলপি গ্যাসের দাম ১ হাজার ৩৬৩ টাকা থেকে ১৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৮১ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি।

বিইআরসির ঘোষণায় বলা হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে মূসকসহ প্রতি কেজির মূল্য ১১৭ টাকা ২ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে। এছাড়া রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা বেসরকারি এলপিজির মূসকসহ প্রতি কেজির মূল্য ১১৩ টাকা ২০ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে।

এদিকে, মূসকসহ অটোগ্যাসের প্রতি লিটারের মূল্য ৬৪ টাকা ৪৩ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে।