বছর সাতেকের এক শিশুর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করে বড়সড় একটি সিস্ট বার করেছিলেন চিকিৎসকেরা। তার ভিতরে ছিল শয়ে শয়ে ফিতাকৃমির লার্ভা। সিস্টের ফলে মাথায় অসহ্য ব্যথা হত শিশুটির। ক্রমশ অসাড় হতে শুরু করেছিল দেহের একাংশও। ফিতাকৃমির সংক্রমণ নতুন নয়। তবে খাদ্যাভ্যাস থেকেই এই অসুখ বেশি ছড়ায়। আধসেদ্ধ বা কম আঁচে রান্না করা মাংস, মাছ ও সব্জিতে যদি ফিতাকৃমির ডিম থাকে, তা হলে তা মানুষের শরীরেও প্রবেশ করতে পারে। এর পাশাপাশি অপরিশোধিত পানি থেকেও হতে পারে এই সংক্রমণ। বর্ষার সময়ে সব্জি ও মাছ-মাংস ভাল করে ধুয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কোন কোন সব্জি থেকে ফিতাকৃমির সংক্রমণ ঘটতে পারে, তা জেনে সতর্ক থাকতে হবে।
পূর্ণবয়স্ক কৃমি যদি কোনও ভাবে মানুষের দেহে প্রবেশ করে তা হলে বিশেষ সমস্যা সৃষ্টি হয় না। মানুষের ক্ষুদ্রান্ত্রে এমনিতেই অনেক সময়ে কৃমি পাওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা হয়, যখন কৃমির ডিম বা লার্ভা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। সেটি শুধু ক্ষুদ্রান্ত্রে সীমাবদ্ধ থাকে না। রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে পৌঁছে যায় মস্তিষ্কে ও মস্তিষ্কের কোষ নষ্ট করতে শুরু করে।
কোন কোন সব্জি সাবধানে খাবেন?
ফুলকপি
ফুলকপি দেখলে বোঝা যায় না, তবে এর মধ্যে ফিতাকৃমির ডিম বা লার্ভা থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই কপি খাওয়ার আগে তা নুন-গরম জলে ভাপিয়ে নিতে হয়।
বেগুন
বেগুনে ফিতাকৃমির ডিম থাকে অনেক সময়েই। এমনও দেখা গিয়েছে, ভাল করে না ধুয়ে রান্না করলে, ডিম থেকেই যায় এবং তা সহজেই শরীরে প্রবেশ করে।
ঝিঙে
ঝিঙে কাটার পর তা ভাল করে দেখে নিতে হবে ভিতরে ডিম বা লার্ভার মতো কিছু আছে কি না। ঝিঙের ভিতরে এক সপ্তাহের মধ্যে ফিতাকৃমির ডিম ফুটে লার্ভা বার হয়। তাই খাওয়ার আগে ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে।
বাঁধাকপি
ফুলকপির মতোই বাঁধাকপি থেকেও ফিতাকৃমির সংক্রমণ ঘটতে পারে। তাই স্যালাডে কাঁচা বাঁধাকপি খাওয়ার আগে সাবধান।
কচুপাতা
কচুপাতায় শয়ে শয়ে ডিম পাড়ে ফিতাকৃমি। ভাল করে না ধুয়ে কচুপাতা রান্না করলে মারাত্মক সংক্রমণ হতে পারে।