মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে একটি টকশোতে হাজির হয়ে তিনি একথা বলেন। রিপন বলেন, যেহেতু ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ এবং ছাত্রলীগের সঙ্গে তাদের অনেকেই মিলেমিশে ছিল, একটা তো সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, বন্ধুত্ব তাদের অনেকের সঙ্গে ছিল। ছাত্রলীগের ভোট তো কোথাও না কোথাও যাবে। একটা ওল্ড টাই ওল্ড রিলেশন, এগুলোর তো একটা ব্যাপার থাকে। পুরোনো বন্ধুত্বের কারণে, সম্পর্কের কারণে ওদের দিকে কিছু ভোট বাড়েও।
শিবিরের সঙ্গে ছাত্রলীগের সখ্যতা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, শিবির একসময় ছাত্রলীগের নাম ধারণ করে সেখানে ছিল, পদে ছিল, তারপরে ওখানে শেখ মুজিবের ভাস্কর্যের সঙ্গে-সামনে রেখে ছবি তুলেছে, তাদের নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলেছে। মানে এই অভিযোগগুলো তাদের বেলায় তো আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখলাম। আমরা তো অনেক সিনিয়র। আমরা তো ক্যাম্পাসে থাকি না তাই না? সারাক্ষণ তো আর ওইভাবে সোশ্যাল মিডিয়া দেখি না। এই অভিযোগগুলো তাদের বিরুদ্ধে আছে।
এই অভিযোগ তারা খুব বেশি রিফিউজ করতে পারে নাই। অস্বীকার করতে পারে নাই। কারণ, ছবিসহ তাদের পুরনো ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলো তুলে ধরা হয়েছে। তো ফলে একটা সম্পর্ক তো থাকেই যোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় না পাওয়া ছাত্রদল নেতা শেখ তানভীর বারী হামিম মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেছেন, আজকের ভোটানুষ্ঠান সার্বিকভাবে উৎসবমুখর হলেও কয়েকটি কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে। বিশেষ করে গণনার ক্ষেত্রে মেশিনের ত্রুটি, জালিয়াতি এবং কারচুপি পরিলক্ষিত হয়েছে।
তিনি আরও লেখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি মনে করেন এটিই তাদের রায়, তবে আমি সেই রায়কে সম্মান জানাই। আমি শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষমাণ।
শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হামিম আরও লেখেন, প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আমি বরাবরই আপনাদের ভালোবাসায় ঋণী। আমি আপনাদের সাথে ছিলাম, আছি এবং যতদিন থাকবো আপনাদের পাশেই থাকবো।