জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান বলেন, ‘আমরা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার সমাবেশ করব। এটি বড় কোনো কর্মসূচি না। সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা দলের তিনজন করে প্রতিনিধিকে সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের প্রধান অতিথি এখনো ঠিক হয়নি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা দল, সদ্য গঠিত ‘স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন কমিটিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর যৌথসভা হবে। সভায় প্রধান অতিথি ঠিক করাসহ সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এবারের স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনে ইতিমধ্যে বিএনপি ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম। সদস্যসচিব করা হয়েছে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে। এ ছাড়া কমিটিতে দলের যুগ্ম মহাসচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা রয়েছেন।
২৫ মার্চ নয়াপল্টনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলে এটি হবে গত বছরের ২৮ অক্টোবরের পর ঢাকায় প্রথম সমাবেশ। গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও হামলায় পণ্ড হয়ে যায়। এই সমাবেশ ঘিরে সারা দেশে অভিযান চালিয়ে বিএনপির প্রায় ২১ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দলটির দাবি।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, গত সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকায় সমাবেশ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন। ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিএনপি আবার রাজপথের কর্মসূচিতে ফেরার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানা গেছে।