মেধাবী মুহাম্মদ আবদুর রহমানের এমন কৃতিত্বে মাদরাসার পরিচালক মুফতি আবদুল কুদ্দুস আশ্রাফী ও প্রতিষ্ঠানটির অন্য শিক্ষকরাও বেশ আনন্দিত।
হাফেজ আবদুর রহমান উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের উমাজুরী গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম ও ফারজানা বেগম দম্পতির ছোট ছেলে। ২ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়।
শিশুটির মা ফারজানা বেগম বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের ইচ্ছা পূরণ করেছেন। স্বপ্ন ছিল ছেলেকে হাফেজ বানানোর। তাই বাড়ির পাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণির লেখাপড়া শেষে স্কুল থেকে নিয়ে ছেলেকে মাদরাসায় ভর্তি করে দেই। আল্লাহর অসীম কৃপায় মাত্র সাড়ে ৬ মাসে ছেলেটা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ছেলের এ সাফল্যে ওর দাদা-দাদিসহ আমরা পরিবারের সবাই অত্যন্ত খুশি। মাদরাসার হুজুরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। দেশবাসীর কাছে হাফেজ আবদুর রহমানের জন্য দোয়া চাচ্ছি, আমাদের ছেলে বিজ্ঞ আলেম হয়ে যেন মানুষ ও ইসলামের খেদমত করতে পারে।
মারকাজ ওমর আল ফারুক (রা.) মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা মুফতি আবদুল কুদ্দুস আশ্রাফী জানান, মা-বাবার স্বপ্নপূরণ করতে হাফেজ হওয়ার উদ্দেশে ৭ বছর বয়সে আবদুর রহমানকে মাদরাসায় ভর্তি করা হয়। এরপর নুরারি-নাজেরা বিভাগের পাঠ শেষ করে চলতি ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে হিফজ পড়া শুরু করে। শুরু থেকেই আবদুর রহমান পড়াশোনার প্রতি বেশ মনোযোগী ছিল। শিশুটি খুবই মেধাবী, উদ্যমী ও সেই সঙ্গে নম্র-ভদ্র এবং বিনয়ী হওয়ায় মাদরাসার শিক্ষকসহ সবার নজর কাড়তে সক্ষম হয়।
হাফেজ আবদুর রহমান বলেন, মা-বাবার দোয়া ও মাদরাসার ওস্তাদদের সহযোগিতায় আমি সাড়ে ৬ মাসের মধ্যে হিফজ সম্পন্ন করেছি। সবার কাছে দোয়া চাই আমি যেন ভবিষ্যতে একজন হক্কানি আলেম হয়ে দেশ-জাতি ও ইসলামের খেদমত করতে পারি।


