মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের প্রায় ৩২ জায়গায় জাকাত আদায়ের ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। ইসলামী অর্থ ব্যবস্থার মূল চালিকা শক্তি জাকাত। ইসলাম ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে জাকাত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুসলিম জাতিকে এক ভারসম্যমূলক অর্থনীতি উপহার দিয়েছেন। দারিদ্র বিমোচন ও ধনী-গরিবের মাঝে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণে জাকাতের গুরুত্ব অপরিসীম।
বছরের যে কোনো দিন জাকাত আদায় করা যায়। তবে অধিক সাওয়াব লাভের আশায় অধিকাংশ মুসলিম রমজান মাসে জাকাত প্রদান করেন। যারা নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও জাকাত আদায় করেন না, মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের ব্যাপারে কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারী প্রদান করেছেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, তোমরা নামাজ প্রতিষ্ঠা করো ও জাকাত আদায় করো এবং তোমরা নিজের জন্য যে নেকী অগ্রিম পাঠাবে, তা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা কিছু করো, নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা তা প্রত্যক্ষ করেন। (সূরা বাকারা, আয়াত: ১১০)
মহান আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে আরো ইরশাদ করেন, আর যারা স্বর্ণ ও রূপা জমা করে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না (জাকাত আদায় করে না), আপনি তাদের কঠোর আজাবের সংবাদ শুনিয়ে দিন। সেদিন তা (জমাকৃত সম্পদ) জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠদেশ দগ্ধ করা হবে, (সেদিন বলা হবে) এগুলো যা তোমরা নিজেদের জন্যে জমা করে রেখেছিলে, সুতরাং যা জমা করেছিলে এখন তা আস্বাদন করো। (সূরা তাওবাহ, আয়াত: ৩৪-৩৫)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। ১. এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল। ২.নামাজ কায়েম করা। ৩. জাকাত আদায় করা। ৪. হজ্জ করা। ৫. রমজান মাসে সিয়াম পালন করা। (সহীহ বুখারী, হাদীস: ৮)