সেই একই কন্ডিশনে, একই উইকেটে আজ শেষ বেলায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা আরও একবার বাজেভাবে ব্যর্থ হলেন। প্রথম ইনিংসে ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। বাংলাদেশ দিন শেষ করেছে ৫ উইকেটে ৪৭ রানে। দিন শেষ হওয়ার আগে মুমিনুল হক ৭ এবং তাইজুল ইসলাম খেলছিলেন ৬ রানে অপরাজিত থেকে।
অবিশ্বাস্য ধসের শুরুটা হয় ওপেনার মাহমুদুল হাসানকে দিয়ে, সেটাও ইনিংসের প্রথম ওভারে। বাঁহাতি পেসার বিশ্ব ফার্নান্ডোর ফুল লেংথের বলে লেগের দিকে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লু হন এই তরুণ ওপেনার। মাহমুদুল রিভিউ নিলেও কোনো লাভ হয়নি, ০ রানেই ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয় তাঁকে। ১২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটি তাঁর ষষ্ঠ শূন্য।
পরের ওভারে অবিশ্বাস্য এক শটে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। কাসুন রাজিতার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচআউট হন নাজমুল। ৫ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৬ রান করা নাজমুল চাইলে বলটা ছেড়েও দিতে পারতেন।
৯ রানে দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর আরেক ওপেনার জাকির হাসান ও মুমিনুল হক জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তবে লঙ্কান পেসার লাহিরু কুমারা তা হতে দেননি। অষ্টম ওভারে কুমারার রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে আসা বলে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসের গ্লাভসে ধরা পড়েন জাকির। ২২ বলে তিনি করেন ১৯ রান।
পরের ওভারেই ফার্নান্ডোর বলে মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দেন শাহাদাত হোসেন। তাঁর ইনিংসও থেমেছে ০ রানেই। এরপর যা হয়েছে, তা পুরোপুরিই অবিশ্বাস্য। শাহাদাত আউট হওয়ার পরের বলেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আড়াআড়ি ব্যাটে খেলে কাভারে ক্যাচ তোলেন লিটন দাস। ০ রানে লিটনের বিদায়ের পর দিনের বাকি সময়টা অবিচ্ছিন্ন থেকে পার করেন মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলাম।
টেস্টের এখনো দুই দিন বাকি। ম্যাচ জিততে বাকি ৫ উইকেটে বাংলাদেশকে করতে হবে ৪৬৩ রান। এমন সমীকরণ সামনে রেখে এটা বলেই দেওয়া যায় যে সিলেট টেস্টে এখন নিশ্চিত হারের দিকেই যাচ্ছে বাংলাদেশ দল।