নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা তানজিদ তামিমের অর্ধশতক সেটি আর হতে দেয়নি। চট্টগ্রামে বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম ম্যাচে তাই সহজ জয়ই পেয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের সাগরিকায় জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্ববায়ুকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের টার্গেট বাংলাদেশ ২৮ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায়। টাইগারদের পক্ষে তানজিদ হাসান তামিম ৪৭ বলে করেন ৬৭ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে খেলে ফেললেও টি-টোয়েন্টিতে এখনও নামা হয়নি বাংলাদেশের তরুণ ওপেনার তানজিদ তামিমের। সাগরিকায় আজ নিজের অভিষেকটা অবশ্য ওয়ানডে অভিষেকের মতো ব্যর্থ হতে দেননি তিনি। দুর্দান্তভাবেই নিজের অভিষেক রাঙিয়েছেন এই ওপেনার। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার ৩৬ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটিতে বাংলাদেশও পেয়েছে সহজ জয়।
রোডেশিয়ানদের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্য বেশি ভোগানোর কথা ছিল না বাংলাদেশকে। তবে নতুন বলে লিটন দাসের আবার ব্যর্থতা শুরুতেই বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে। ব্লেসিং মুজারাবানির গতি আর সুইংয়ে মিডল স্টাম্প হারিয়ে লিটন প্যাভিলিয়নে ফেরত যান কেবল ১ রান নিয়ে।
এরপর অবশ্য সাগরিকায় শুরু হয় বৃষ্টির আনাগোনা। ৩ ওভারে বাংলাদেশের ১০ রানের সময় প্রথমবার বৃষ্টি হানা দেয়। ম্যাচ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর শুরু হলেও চার ওভার পর আবার হানা। তখন বাংলাদেশের রান মাত্র ৪৪। খেলা ফের শুরু হয় ৯ টা ৪০ মিনিটে।
ম্যাচ জিততে হলে তখন ৭৬ বলে ৮১ রান দরকার বাংলাদেশের হাতে আছে ৯ উইকেট। অবশ্য ব্যক্তিগত ২১ রানে দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরলে তা আটে পরিণত হয়।
লিটনের পর শান্ত বিদায় নিলেও দায়িত্ব নিয়ে উইকেটে থেকে যান তানজিদ তামিম। এই বাঁহাতি স্বভাবসুলভ ব্যাটিংয়ে খেলেন ৪৭ বলে ৬৭ রানের আগ্রাসী ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল ৮ চার ও ২ ছয়। তার সঙ্গী তাওহীদ হৃদয় অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে।
এদিকে চট্টগ্রামে বৃষ্টি বিঘ্নিত এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে। টস হেরে ব্যাট করতে ৪১ রানেই ৭ উইকেট হারায় সফরকারীরা। পরে অবশ্য মাদানদে-মাসাকাদজার ৬৫ বলে ৭৫ রানের জুটি রোডেশিয়ানদের সম্মানজনক স্কোর এনে দেয়। মাদানদে ৪৩ ও মাসাকাদজা ৩৪ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন ও সাইফউদ্দিন নেন ৩টি করে উইকেট।