টস জয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল বলেছেন, এ মাঠে রান তাড়া করা সহজ। উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডার ১৯৫ রানের টার্গেটে সহজে জয় পায় তারা।
সেই আত্মবিশ্বাসে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। আর বৃহস্পতিবার (৬ জুন) আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৫৯ রান করে পাকিস্তান। টসের সময় বলা কথাকে কাজে পরিণত করলেন মোনাঙ্ক। তার অনবদ্য অর্ধশতকে গত আসরের রানার্স আপদের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ১৫৯ রান তোলে যুক্তরাষ্ট্র। শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর সুপার ওভারে ম্যাচটি জিতে নেয় স্বাগতিকরা। বিশ্ব আসরে টানা দুই জয়ে ইতিহাস গড়ল আয়োজকরা।
বিশ্বকাপের অভিষেকে কানাডার বিপক্ষে রেকর্ড জয়ে উজ্জীবিত যুক্তরাষ্ট্র। এ ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা পাকিস্তানের বিপক্ষেও ধরে রাখে আগের রেশ। ২৬ রান তুলতেই সাজঘরে ফেরেন টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান (৯), উসমান খান (৩) ও ফখর জামান (১১)।
এরপর অধিনায়ক বাবর আজম, শাদাব খান ও শাহিন আফ্রিদির ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় পাকিস্তান। দ্রুত তিন উইকেট হারানোর বাবর ও শাদাবের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। চতুর্থ জুটিতে দুজনে গড়েন ৭২ রানের জুটি। ২৫ বলে ৩ ছয় ও ১ চারে ৪০ রান আসে শাদাবের ব্যাট থেকে।
৩ ছক্কা ও ১ চারে ২৫ বলে ৪০ রান করে আউট হন শাদাব। ৪৩ বলে ৪৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাবর আজম। শেষ দিকে শাহিন শাহ আফ্রিদির ১৬ বলে ২৩ রানের ক্যামিওতে ১৫৯ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান।
জবাবে দ্রুত উইকেট হারালেও অ্যান্ড্রিস গাউসকে নিয়ে ৪৮ বলে ৬৮ রানের জুটি গড়েন মোনাঙ্ক। গাউস ৩৫ রান করে আউট হন। পরে আগের ম্যাচের নায়ককে অ্যারন জোন্সকে নিয়ে দলকে লড়াইয়ে রাখেন মোনাঙ্ক। অর্ধশতক করে আউট হন তিনি।
হারিস রউফের করা ২০তম ওভারে জয়ের জন্য ১৫ রান দরকার ছিল স্বাগতিকদের। দুই ব্যাটার মিলে ১৪ রান তুললে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। মোহাম্মদ আমিরের করা সুপার ওভারে ১৯ রান তুলে যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে সৌরভ নেত্রাভালকা রুখে দেন পাকিস্তানের ব্যাটারদের। ফলে রোমাঞ্চকর জয়ে পাকিস্তান বধের কাব্য রচিত করে যুক্তরাষ্ট্র।