বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বোর্ড সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ফারুক বলেন, বিসিবি কোনো এজেন্সি না, পুলিশ না, র্যাব না। সরকারের তরফ থেকে নিরাপত্তার ব্যাপারটি আসতে হবে। সাকিব যদি এখান থেকে শেষ টেস্ট খেলতে পারে, ওর মতো আমিও বিশ্বাস করি এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার ব্যাপারটা দুই রকম। একটা হচ্ছে আইনি, আরেকটা দর্শকের বিষয়। এটা সাকিবকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা এটার অংশ হতে পারব না। এই মুহূর্তে বলতে পারব না কোর্ট থেকে কী… আর ব্যক্তিগত কোনো মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার সামর্থ্য নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাকিব এ মুহূর্তে তার জীবনের খুব বাজে সময় পার করছে। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করিনি। সে মনে করেছে অবসর নেওয়ার এটাই সঠিক সময়। আমি তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। আমার দিক থেকে ওর জন্য খুব বেশি কিছু বলার নেই।
এর আগে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণার সময় কানপুরে সাকিব জানান, এটা আমার ইচ্ছা (মিরপুরে খেলে বিদায় নেওয়া)। আমি বিসিবিকে জানিয়েছি। তারাও একমত হয়েছেন। তারা যদি আমাকে নিরাপদে মিরপুরে খেলার সুযোগ দেন ও দেশ থেকে বাইরে যাওয়ার পরিস্থিতি করে দেন, তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট পর্যন্ত খেলতে চাই।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া সাকিব গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশেই ফিরতে পারেননি। এর মধ্যেই তিনি পাকিস্তানে দেশের হয়ে টেস্ট খেলেছেন, এখন ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দলের সঙ্গে আছেন। পাকিস্তানে খেলে ইংল্যান্ডে গিয়ে সারের হয়ে খেলেছেন কাউন্টি ক্রিকেটও। সরকার পতনের পর সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।