ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকা থেকে অপহরণ করা ফিলিস্তিনিদের নির্যাতন করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির এক মানবাধিকার কর্মকর্তা বরাত দিয়ে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার গাজা সফরের সময় এক প্রতিবেদনে ওই বলেছিলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন এমন কয়েকজন ফিলিস্তিনি নাগরিকের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তারা প্রত্যেকে অজানা স্থানে কয়েক সপ্তাহ হাজতবাস করেছেন। সেখানে তাদের শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।
আল জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর শেয়ার করা বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, শতশত ফিলিস্তিনি পুরুষ তাদের কাপড় ছাড়া বাইরে ঠান্ডায় বসে আছে। তাদের চোখ বাঁধা অবস্থায় দেখা গেছে। এছাড়া কয়েকটি ভিডিওতে নারী ও শিশুদেরও একই অবস্থায় দেখা গেছে। ভিডিওগুলো বেইট লাহিয়া, শুজাইয়া এবং জাবালিয়াসহ গাজার বিভিন্ন স্থানে ধারণ করা হয়েছে।
অজিত সুংঘে নামে ওই জাতিসংঘ কর্মকর্তা বলেন, বেশ কয়েকজন পুরুষ বন্দিকে পোশাক ছাড়াই ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে ডায়পার পরিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, কেন তাদের ডায়াপার পরানো হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু আমি যখন তাদের সাথে দেখা করি তখন তারা কাঁপছিল।
ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটরের মতে, মুক্তি পাওয়া একাধিক বন্দি বলেছেন- তাদের শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অপমান করার জন্য। এরপর তাদের ট্রাকে করে উন্মুক্ত বন্দি কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, যেখানে তাদের মারধর এবং বিভিন্ন ধরনের দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয়েছে।
সুংহে জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই এব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। যাতে গ্রেফতার বা আটক সকলের সাথে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের নিয়ম ও মান অনুযায়ী আচরণ করা হয়। বিশেষ করে তাদের যথাযথ প্রক্রিয়া অধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেছেন, ইসরায়েল যদি আটক প্রতিটি ব্যক্তির জন্য অপরিহার্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে না পারে, তবে তাদের অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে। সূত্র: আল জাজিরা