চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পশ্চিমা শক্তির বিপরীতে বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় শি বন্ধু পুতিনের আগমনে প্রস্তুতির কোনো কমতি রাখেননি।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জানানো অভ্যর্থনা ছিল রাজকীয়। যথারীতি ছিল লালগালিচা সংবর্ধনা। সঙ্গে ছিল মোটরবাইক শোভাযাত্রা। দেওয়া হয় গার্ড অব অনার। পুতিনের আগমনে রঙিন সাজে সাজানো হয়েছে চীনের পথঘাট।
পঞ্চম দফায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই পুতিনের প্রথম বিদেশ সফর।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সফরকালে পুতিন ব্যস্ত সময় পার করবেন। শির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন। দিনের পরের ভাগে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন পুতিন।
আগামীকাল শুক্রবার চীনের ঐতিহাসিক শহর হারবিনে দুটি দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে পুতিনের। সেই সঙ্গে সেখানে একটি বরফ উৎসবেও যোগ দেবেন তিনি। এর মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে।
ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন চীন। এ পরিস্থিতিতে চীন-রাশিয়ার দুই নেতার বৈঠকের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে পশ্চিমা বিশ্ব।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার সামরিক হামলা চালানোর নির্দেশ দেন পুতিন। এর কয়েক দিন আগে বেইজিংয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
সেখানে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক হয় তার। এরপর দুজন একসঙ্গে ঘোষণা দেন চীন ও রাশিয়ার মধ্যে ‘সীমাহীন’ বন্ধুত্ব থাকবে।
পুতিনের চীন সফরের ব্যাপারে রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন বলেছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে ভ্লাদিমির পুতিন সেখানে সফর করছেন।