গতকাল শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। এখন তিনি সুস্থ আছেন।
এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার রাত ১২টার দিকে তিনি বলেন, ‘তাঁর (শামসুদ্দিন চৌধুরী) স্কোটাল ইনজুরি (অণ্ডকোষে আঘাত) ছিল। রাতে অস্ত্রোপচার হয়। এখন তিনি ভালো আছেন এবং হাসপাতালের পোস্ট অপারেটিভে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
এর আগে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় শামসুদ্দিন চৌধুরীকে গত শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে স্থানীয় জনতার সহায়তায় বিজিবি আটক করে। পরে শনিবার সকালে তাঁকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতে প্রবেশের সময় আদালত প্রাঙ্গণে থাকা দলবদ্ধ কিছু ব্যক্তি শামসুদ্দিন চৌধুরীকে বেধড়ক কিলঘুষি মারেন। অনেকে ডিম ছোড়ার পাশাপাশি জুতাও নিক্ষেপ করেন। কেউ কেউ শামসুদ্দিন চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে ‘ভুয়া ভুয়া’-সহ বিভিন্ন কটূক্তিমূলক স্লোগান দেন। জনরোষ থেকে বাঁচিয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা কোনোরকমে শামসুদ্দিন চৌধুরীকে আদালত ভবনে ঢোকান।
কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিকেল ৫টার দিকে শামসুদ্দিন চৌধুরীকে শহরতলির বাদাঘাট এলাকায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা ওসমানী হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী তাঁকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম ছিল।