রোববার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (সিআরইউ) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কত মামলা রয়েছে তা আমি নিজেও জানি না। বিগত সরকার আমলে গ্রেপ্তার হওয়া, আদালতে হাজিরা দেওয়া ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কারাগারে গেছি বহুবার। একবার টানা আটক ছিলাম দেড় বছর। পরে ছিলাম আরও ৫ মাস। মিথ্যা মামলায় কারাবাস করা সময়ের অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে। কখনো কখনো জেলখানার সামান্য সুবিধাটুকুও পেতে দেওয়া হয়নি। যেটা সাধারণ বন্দিরা পেয়ে থাকেন’।
সাবেক এই স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ছিল প্রতিহিংসা পরায়ণ। তারা রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম, অন্যায়, ঘুষ, দুর্নীতিকে বৈধতা দিয়েছিল। অপরাধকে তারা কোনো অপরাধই মনে করেনি। তাদের মস্তিষ্কে পচন ধরেছিল। একারণেই সরকার প্রধানের সঙ্গে মন্ত্রিসভা, স্পিকার, সংসদ এমনকি বায়তুল মোকাররমের খতিবসহ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তারা যে অন্যায় করেছে মানবিক কারণে আমরা তাদের ওপর তেমনটা করতে চাই না। তাদের বিচার দেশের আইন আদালত করবে।
আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এই ভাইস-চেয়ারম্যান বলেন, ‘যদি ব্যক্তিগত অভিমত জানতে চান তবে বলবো, রাজনীতিবীদ হিসেবে আমি দ্রুত নির্বাচন চাইব। কিন্তু একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য যে সংস্কার প্রয়োজন তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে; সময় দিতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূস একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। বিশ্বব্যাপী তার দারুন গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। আমরাও তার ওপর আস্থা রাখতে চাই। আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সব ব্যাপারে আমাদের সবসময় নির্দেশনা দিচ্ছে’।