যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এবার মার্কিনবিরোধী তিন পরাশক্তি— চীন, রাশিয়া ও ইরানের কাছে সহায়তা চেয়েছে ভেনেজুয়েলা। ক্যারাবিয়ান অঞ্চলে সম্প্রতি মার্কিন সামরিক বাহিনীর
আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে এসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের চিঠি পাঠিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।
যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সরকারি নথির বরাতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাডার সিস্টেম, যুদ্ধবিমান মেরামত এবং সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের জন্য সহায়তা চেয়েছেন মাদুরো। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে একটি চিঠির মাধ্যমে এই অনুরোধ জানানো হয়েছে। অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে ভেনেজুয়েলার এক সিনিয়র উপদেষ্টার মস্কো সফরের সময় এ চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতিও মাদুরো একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে সামরিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের আহ্বান জানিয়েছেন মাদুরো।
তিনি বেইজিংকে আহ্বান জানিয়েছেন, ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষা জোরদার করতে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন দ্রুত রাডার শনাক্তকরণ ব্যবস্থা উৎপাদন করে।
মার্কিন নথিতে উল্লেখ করা হয়, মাদুরো তার চিঠিতে দাবি করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণাত্মক আচরণ শুধু ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে নয় বরং সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শগত অংশীদারের বিরুদ্ধেও এক প্রকার আগ্রাসন।
২০১৩ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতি মাদুরোর জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, তারা ভেনেজুয়েলার উপকূল থেকে বের হওয়া মাদকবাহী জাহাজগুলোর বিরুদ্ধে ১২টিরও বেশি অভিযান চালিয়েছে। এসব অভিযানে অন্তত ৬১ জন নিহত হয়েছে। তবে এসব অভিযানের পক্ষে কোনো প্রমাণ প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।


