রবিবার, অক্টোবর ২৬, ২০২৫
রবিবার, অক্টোবর ২৬, ২০২৫
30 C
Dhaka
Homeস্বাস্থ্যসাধারণত মাতৃত্ব একজন নারীর কাছে নতুন অনুভূতি

সাধারণত মাতৃত্ব একজন নারীর কাছে নতুন অনুভূতি

প্রকাশ: অক্টোবর ১৫, ২০২৫ ৬:৪০

আমাদের আশপাশে অনেক পরিবারেই যমজ সন্তান জন্মের কথা শোনা যায়। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের মধ্যে অনেকেরই আবার শখ থাকে, তাদের যেন যমজ সন্তান হয়। সাধারণত মাতৃত্ব একজন নারীর কাছে নতুন অনুভূতি এবং তার নারী জীবনের পূর্ণতা। অধিকাংশ নারীই চান একটি সুস্থ ও সুন্দর সন্তান যেন জন্ম দিতে পারেন তিনি। একইসঙ্গে কেউ কেউ যমজ সন্তানও জন্ম দিতে চান।

যমজ সন্তান হওয়া নিয়ে অনেকেরই নানা মত রয়েছে। তবে যমজ সন্তানের গর্ভাবস্থা কোনো সাধারণ বিষয় নয়। এর পেছনে নানা কারণ ও পরিস্থিতি থাকে। যমজ সন্তান হওয়ার ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গরিমা চৌহান। তাহলে এ চিকিৎসকের পরামর্শ জেনে নেয়া যাক।

ডা. গরিমা জানিয়েছেন, যমজ সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে পারিবারিক ইতিহাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোনো নারীর মা, দাদি বা বোনের যদি যমজ সন্তান হয়, তাহলে ওই নারীর ক্ষেত্রে এ ধরনের গর্ভাবস্থার সম্ভাবনা থাকে। যা জেনেটিক ফ্যাক্ট, যা থামানো বা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ থাকে না। কোনো নারীর দিক থেকে যমজ সন্তানের ইতিহাস থাকলে তাদের মধ্যে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা অন্যান্য নারীর তুলনায় বেশি থাকে। ডিম্বস্ফোটন সম্পর্কিত ওষুধের প্রভাব থেকেও অনেক সময় নারীর স্বাভাবিকভাবে গর্ভধারণে সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রে তাকে ডিম্বস্ফোটনের ওষুধ দিয়ে থাকেন চিকিৎসক।

এসব ওষুধের জন্য একাধিক ডিম্বাণু উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা যমজ সন্তান জন্মের সম্ভাবনা বাড়ায়। এ পরিস্থিতিতে একাধিক ডিম্বাণু নিষিক্ত হলে দুটি ভ্রূণ একসঙ্গে বিকশিত হতে থাকে। এ ক্ষেত্রে যমজ গর্ভধারণের সম্ভাবনা স্বাভাবিকের থেকে বেশি হয়।

আজকাল স্বাভাবিক গর্ভাবস্থা না হওয়ার পরিস্থিতিতে আইভিএফ চিকিৎসার মাধ্যমে গর্ভধারণের প্রবণতা বেড়েছে। যে কারণে চিকিৎসকরা প্রায়ই একাধিক ভ্রূণ ইমপ্ল্যান্ট করেন, ফলে সাফল্যের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ জন্য আইভিএফের মাধ্যমে যমজ সন্তানের সম্ভাবনাও বেশি থাকে।

স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গরিমা বলেন, যমজ সন্তান জন্মের পেছনে চিকিৎসা ও জেনেটিক কারণ থাকে। কিছু জিনিস ভাগ্যের ওপরও নির্ভর করে। অর্থাৎ, এটি যদি নির্ধারিত থাকে, তাহলে যমজ সন্তান হবেই। তবে কখনো কখনো কোনো নির্দিষ্ট কারণ না থাকলেও একজন নারীর যমজ সন্তান হতে পারে। আবার কিছু ক্ষেত্রে অনেক নারী আইভিএফের মতো চিকিৎসা নেয়ার পরও যমজ সন্তান ধারণে অক্ষম হয়ে থাকেন। আর যেকোনো সমস্যায় অবশ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

 

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর