সোমবার, অক্টোবর ২৭, ২০২৫
সোমবার, অক্টোবর ২৭, ২০২৫
28 C
Dhaka
Homeখেলারাজনৈতিক অবস্থান থেকে কি সরে আসবেন মাশরাফি ?

রাজনৈতিক অবস্থান থেকে কি সরে আসবেন মাশরাফি ?

প্রকাশ: অক্টোবর ১৫, ২০২৫ ৬:৩৪

৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দলটির অধিকাংশ নেতাকর্মী আত্মগোপনে বা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।

একই অবস্থা হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের হুইপ ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ক্ষেত্রেও। তিনি দেশে থাকলেও জনসম্মুখে আসছেন না।

তবে এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানালেন, তার ধারণা মাশরাফি তার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।

সাকিব আল হাসানের প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, তাকে (সাকিবকে) দেশে খেলতে দেওয়ার বিষয়ে সহায়তা করার সুযোগ এখন আর নেই। এখনো শেখ হাসিনাকে সমর্থনই তার মূল কারণ।

তিনি আরও বলেন, সাকিবের শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি, ফিন্যানশিয়াল ফ্রডের মামলা, এমনকি তার পরিবারের বিরুদ্ধে হত্যামামলার অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে বিষয়গুলো সামনে এসেছে। আমরা কাউকে টার্গেট করে তুলি নাই বরং তার নিজস্ব কর্মকাণ্ডের কারণেই আলোচনা তৈরি হয়েছে।

সেই প্রসঙ্গেই উঠে আসে মাশরাফির নাম। ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, মাশরাফি বিন মুর্তজার বিষয়ে এমন কিছু আমি জানি না। আমার জানামতে, উনি তার রাজনৈতিক অবস্থান থেকেও সরে এসেছেন। ফেসবুকে উনি বিষয়টা স্পষ্ট করেছিলেন বলে আমার মনে পড়ে।

তবে যাচাই করে দেখা গেছে, মাশরাফি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি এমন কোনো মন্তব্য করেননি। তবে গত বছরের আগস্টে এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজনীতি থেকে সরে আসার। তখন মাশরাফি বলেছিলেন, যখন রাজনীতিতে ছিলাম, ক্রিকেট বোর্ডে থাকার চেষ্টা করিনি। এখন রাজনীতিতে নেই, এখন যদি বোর্ডে থাকার চেষ্টা করি বা থাকতে চাই, তাহলে কেমন হয়ে যায় না!

এ বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয় রাজনীতি তার অতীত অধ্যায়। গত এক বছরে মাশরাফি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে বিভিন্ন বিষয়ে ১৪টি পোস্ট দিয়েছেন। কিন্তু কোনোটিই আওয়ামী লীগ বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত নয়। বিপরীতে সাকিব আল হাসান একাধিকবার আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে পোস্ট দিয়েছেন। পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্র্যান্ডিং নিয়েও সমালোচিত হয়েছেন।

তবে মাশরাফি যদি কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। তার ভাষায়, এর বাইরে যদি উনি রাষ্ট্রীয় আইনে কিছু করে থাকেন, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হতেই পারে। ওনার বিষয়টা আলোচনায় আসেনি। কারণ, উনি অনেক আগেই অবসর নিয়েছেন এবং খেলার সঙ্গে এখন আর সংশ্লিষ্ট নন।

 

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর