শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
20 C
Dhaka
Homeবাংলাদেশরজনীগন্ধা ডুবার সময় ঘুমে ছিলেন সবাই

রজনীগন্ধা ডুবার সময় ঘুমে ছিলেন সবাই

প্রকাশ: এপ্রিল ১৬, ২০২৪ ১১:৫১

দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ‘চরম গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতা’র কারণে ডুবেছিল রজনীগন্ধা ফেরিটি। নোঙর করার পর ফেরিটির দায়িত্বশীল সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তখন ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দিয়ে পানি ঢুকে পড়ে। সবাই ঘুমিয়ে থাকায় পানি সেচে ফেলার কেউ ছিলেন না।

গত ১৭ জানুয়ারি সকালে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ঘাটের কাছাকাছি নোঙর করে থাকা ফেরিটি নয়টি যানবাহন নিয়ে ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে চরম গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতার কথা উল্লেখ করা হয়। আর ফেরির দায়িত্বশীলদের ঘুমিয়ে পড়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন বিআইডব্লিউটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এর জন্য দায়ী বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অব্যাহতি, সাময়িক বরখাস্ত ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি)। সংস্থাটির এক নথিতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ইনচার্জ মাস্টারের বিধি লঙ্ঘন, তিনি ও অন্য কর্তব্যরত কর্মীদের চরম গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতার কারণে ফেরিটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান এ কে এম মতিউর রহমান আজ মঙ্গলবার বলেন, ফেরিটি যাত্রা করার আগে কিছু বিষয় যাচাই–বাছাই করতে হয়; যা রজনীগন্ধার ক্ষেত্রে ঠিকভাবে করা হয়নি। মূলত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলা, ঘন কুয়াশা, ধারণক্ষমতার বেশি ওজন বহন করায় ফেরিটি ডুবেছে। এ জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
১৬ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টার পর রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি রজনীগন্ধা। রাত দেড়টার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে নোঙর করে ফেরিটি। পরদিন সকাল সাড়ে আটটার দিকে ফেরিটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় ফেরির দ্বিতীয় ইঞ্জিনচালক হুমায়ুন কবিরের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর