আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র অতি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগ এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বাকি এলাকাগুলো দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি আজও চলবে।
এই তাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তবে এ ধরনের বৃষ্টি দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহ কমাবে বলে মনে করেন না আবহাওয়াবিদেরা। তাপপ্রবাহ কমাতে চাই দেশজুড়ে বৃষ্টি।
মো. শাহীনুল ইসলাম আজ বলেন, এই তাপপ্রবাহের মধ্যে দেশের দু-এক স্থানে কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে। এখন এর পরিধি বাড়বে ধীরে ধীরে।
আবহাওয়া অফিস আগামী তিন দিনের আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস দিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আজ সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক বিভাগের কথা বলা হলেও আগামীকাল সিলেটে এবং চট্টগ্রামে বৃষ্টির বিস্তৃতি বাড়তে পারে। আগামী বৃহস্পতিবার এই দুই বিভাগের সঙ্গে ঢাকা ও বরিশাল বিভাগেরও দু-এক জায়গায় বৃষ্টির কথা বলেছে আবহাওয়া অফিস। তবে আগামী ৪ থেকে ৫ মে দেশের বড় অংশজুড়ে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন শাহীনুল ইসলাম।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গতকাল রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশে এবং ঢাকাতেও চলতি বছরের দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে থাকে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
দেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয় মে মাসে। এরপর আছে জুন, সেপ্টেম্বর ও এপ্রিল মাস। কিন্তু এবার এই ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মাত্র একটি বজ্রঝড় বা কালবৈশাখী হয়েছে। তা–ও হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। সেটাও অস্বাভাবিক। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৯৮১ সাল থেকে চলতি ২০২৪ সাল পর্যন্ত বজ্রঝড়ের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। আবহাওয়া ও জলবায়ুবিশেষজ্ঞরা প্রকৃতির এ আচরণকে অস্বাভাবিক বলছেন।