মঙ্গলবার রাতে বৈঠক শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে রাষ্ট্রপতি ও তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠক হয়। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করতে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সদস্যের একটি দল। এর ঘণ্টা দেড়েক পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তিন বাহিনীর প্রধানেরা বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। আধা ঘণ্টা পর বঙ্গভবনে আসেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদ।
এ সময় এ কে আজাদ বঙ্গভবনের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর হচ্ছে, অগ্নিসংযোগ হচ্ছে। পুলিশ কাজ করতে পারছে না। নিরাপত্তা না দিলে কারখানা চালু করা সম্ভব হবে না। পুলিশ কারখানার নিরাপত্তা দিতে পারছে না। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে হলে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দিতে হবে।
এরপর রাত ১১টার দিকে বৈঠক শেষ করে বের হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। সমন্বয়কেরা সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে করে বঙ্গভবন থেকে বের হন। এ সময় গাড়িটির সামনে ও পেছনে সেনাবাহিনীর জিপ দেখা যায়।
মঙ্গলবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। রাত ১১টায় সমন্বয়কেরা বের হলেও এই দুই শিক্ষক, তিন বাহিনীর প্রধান ও এ কে আজাদ তখনো বঙ্গভবনের ভেতরে অবস্থান করছিলেন।