শনিবার (১১ অক্টোবর) পঞ্চগড় জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্ক-সংলগ্ন জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে আয়োজিত লংমার্চের সমাপ্তি বক্তব্যে সারজিস এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেন।রাত সাড়ে ৯টার দিকে যখন সারজিস আলম বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তিনি অভিযোগ করেন, পঞ্চগড়ে এনসিপির অনুষ্ঠান চলাকালে এর আগেও বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে এবং এটি তিন দিনের কর্মসূচিতে তৃতীয়বারের মতো ঘটল।
বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নেসকোর কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ার দেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, এর আগেও পঞ্চগড়ে এনসিপির প্রোগ্রাম চলাকালে বিদ্যুৎ গেছে। নেসকোর যে মালিক তাকে এবং তার বাপকে জবাব দিতে হবে, প্রোগ্রাম চলাকালে এটা হয় কেন? এক দিন হইতো, দুই দিন হইতো কিচ্ছু বলতাম না, তিন দিনের তিন দিনই এটা হইছে।
এই ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করে সারজিস আলম বলেন, যারা এটা করছে, তারা হচ্ছে রাজনৈতিক…(প্রকাশযোগ্য না)। এই রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেব। তাদের কলিজা কত বড় হইছে। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব।
সারজিস আলম নিজের নাম উল্লেখ করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এরপর থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান পঞ্চগড়ে যদি রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ করে, ওই প্রতিষ্ঠান এই পঞ্চগড়ে থাকবে না, এটা আমার নিজের কমিটমেন্ট।
এর আগে, লংমার্চের শুরুতে তেঁতুলিয়ার অনুষ্ঠিত পথসভায় সারজিস আলম বলেন, চাঁদাবাজ, দখলদার, সিন্ডিকেটকারী ও দুর্নীতিবাজদের আর ছাড় নেই। এদের হাত ভেঙে দিতে হবে। জনগণের রক্তচোষা এসব দানবদের বিরুদ্ধে জনগণকেই রুখে দাঁড়াতে হবে।
লংমার্চে অংশ নেন পঞ্চগড় জেলা এনসিপি ও জাতীয় যুবশক্তির কয়েকশ নেতাকর্মী। পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেলের বিশাল বহরে উত্তরের রাজপথ ছিল সরব ও স্লোগানে মুখর।