রোববার (১২ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সংস্কার কমিশন যেসব বিষয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বা যে প্রস্তাব দিচ্ছে এর বেশিরভাগই বিএনপির ৩১ দফায় আগে থেকেই আছে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) এ বিষয়ে সনদ স্বাক্ষর করা হবে। যে বিষয়গুলো একমত হয়নি, সেগুলো নির্বাচনের সময় ম্যান্ডেট নিয়ে যেতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, একটা অনুরোধ, যে সুযোগ দেশের মানুষ পেয়েছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য, সেই সুযোগ আবার যেন না হারাই। কিছু মানুষ চেষ্টা করছে একাত্তরকে ভুলিয়ে দিতে। একাত্তর হয়েছে বলেই আজ দেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখছি। অনেক ষড়যন্ত্র আছে। তাকে পরাজিত করার শক্তি দেশের মানুষের আছে।
তিনি বলেন, নতুন ধারণা পিআর নিয়ে আদৌ জনগণের ধারণা আছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সংস্কার কমিশন সেই প্রস্তাব আনেনি, এনেছে রাজনৈতিক কয়কেটা দল। পিআর নিয়ে কথা হচ্ছে, আন্দোলন হচ্ছে। কারণ একটাই, সেটা হচ্ছে নির্বাচনকে বিলম্বিত করা। পিআর জনগণ গ্রহণ করবে না। বিএনপি আগেই বলেছে এটা হবে না। চাপিয়ে দেওয়া কোনো কিছু জনগণ গ্রহণ করবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণ নির্বাচন দেখতে চায়, যার মাধ্যমে জনগণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে গিয়ে তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে চায়। ১৪ মাসে রাতারাতি সংস্কার হয়ে যাবে, জনগণ তা বিশ্বাস করে না। তারা চায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে।