এই সপ্তাহে (২৯ নেভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর) ডেঙ্গুতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩ হাজার ৬৩৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ নগরের পাশাপাশি গ্রামে-গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে যে উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল সংশ্লিষ্টরা সেটা নিতে পারেনি। ফলে প্রতিদিন ডেঙ্গুতে মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ।
গত সাত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৯ নভেম্বর কারও মৃত্যু না হলেও ৫৭২ জন হাসপাতালে, ৩০ নভেম্বর পাঁচজনের মৃত্যু এবং ৬৩৬ জন হাসপাতালে, ১ ডিসেম্বর দুইজনের মৃত্যু এবং ৬১০ জন হাসপাতালে, ২ ডিসেম্বর দুইজনের মৃত্যু এবং ৫৬৫ জন হাসপাতালে, ৩ ডিসেম্বর পাঁচজনের মৃত্যু এবং ৪৯০ জন হাসপাতালে, ৪ ডিসেম্বর তিনজনের মৃত্যু এবং ৫৬৫ জন হাসপাতালে, ৫ ডিসেম্বর কারও মৃত্যু না হলেও ২০০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি মাসে (ডিসেম্বর) এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে ২ হাজার ৪৩০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মারা গেছেন ১২ জন।
এ ছাড়া চলতি বছর ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৬ হাজার ৮২৭ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৬২৪ জন। মারা গেছেন ৩৯৪ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।


