শনিবার, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫
শনিবার, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫
27 C
Dhaka
Homeজীবনযাপনশসা ওজন কমাতে উপকারি

শসা ওজন কমাতে উপকারি

প্রকাশ: আগস্ট ১১, ২০২৫ ১২:৩৯

শসা ওজন কমাতে পারে বলেই যখন তখন খেয়ে নেওয়া যাবে, তা তো নয়। শসা খাওয়ারও সময় ও নিয়ম আছে। যদি সত্যিই মেদ ঝরাতে হয়, তা হলে শসা ঠিক কোন সময়ে খেতে হবে ও কতটা, তা জেনে রাখা ভাল।

ওজন কমাতে শসার জুড়ি মেলা ভার। শসার রস, শসার ডিটক্স পানীয় বা শসার স্যালাড— সবেরই আলাদা আলাদা উপকারিতা আছে। বাঙালির পাতে স্যালাড মানে তাতে শসাই আগে আসে। পুষ্টিবিদেরা ওজন কমাতে, নিয়মিত পাতে শসা রাখার পরামর্শই দেন। পেট ঠান্ডা রাখা থেকে কোলেস্টেরল কমানো, শসার গুণ অনেক। তবে শসা ওজন কমাতে পারে বলেই যখন তখন খেয়ে নেওয়া যাবে, তা তো নয়। শসা খাওয়ারও সময় ও নিয়ম আছে। যদি সত্যিই মেদ ঝরাতে হয়, তা হলে শসা ঠিক কোন সময়ে খেতে হবে ও কতটা, তা জেনে রাখা ভাল।

কেউ শসার স্যালাড খান খাবারের সঙ্গে, কেউ খাওয়ার আগে ও কেউ পরে। রাতে প্রায় উপোস করে ডায়েট করছেন যাঁরা, তাঁরা রাতেও একগাদা শসা খেয়ে ফেলেন। তাতে কি আদৌ লাভ হয় কোনও? পুষ্টিবিদ বৃতী লাহিড়ির মতে, শসা দু’ভাবে খাওয়া যেতে পারে— ১) খাওয়ার আগে ২) খাওয়ার পরে। কাদের জন্য কোনটি উপকারী, তা জেনে নিতে হবে।

খাওয়ার আগে শসা খাওয়ার লাভ কী?

ওজন কমাতে খাওয়ার আগেই খেতে হবে শসা। পুষ্টিবিদের মতে, শসায় ক্যালোরি খুব কম। জল ও ফাইবারের মাত্রা বেশি। খাওয়ার আগে শসা খেলে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার প্রবণতা কমবে। পেট ভরা থাকবে দীর্ঘ সময়।

শসা হজমশক্তি ভাল করে। যদি ভূরিভোজের পরিকল্পনা থাকে, তা হলে আগে শসা খেলে তা বিপাকের হার বৃদ্ধি করবে। অ্যাসিড রিফ্লাক্স, অম্বলে গলা-বুক জ্বালার সমস্যা যাঁদের আছে, তাঁরা এই টোটকা কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। এতে খাওয়ার পরিমাণও কমবে এবং যা খাবেন তা দ্রুত হজমও হবে।

শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে পারে শসা। খাওয়ার আগে খেলে, শরীরে জলের অভাব মিটবে। এতে অম্বলের সমস্যা কম হবে।

খাওয়ার পরে

হজমের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা খাওয়ার পরে শসা খেতে পারেন। এতে হজম ভাল হবে। বিশেষ করে তেল-মশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার পর শসা খেলে হজম প্রক্রিয়া সহজ হতে পারে।

ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম থাকলে ভারী খাবার খাওয়ার পরেই অস্বস্তি, পেট ফাঁপার সমস্যা শুরু হয়। সে ক্ষেত্রে খাওয়ার পরে শসা খাওয়াই ভাল।

খেয়াল রাখতে হবে, শসা সবসময়ে দিনের বেলা খাওয়া ভাল। বিকেলের স্ন্যাক্সেও অল্প করে শসা রাখা যেতে পারে। তবে রাতে কখনও শসা খাবেন না। রাতের বেলায় বিপাকের হার কমে যায়। শসা হজম হতে অনেক সময় লাগবে, এতে ঘুমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সারা দিনে মাঝারি মাপের ১টি বা ২টি শসা খাওয়া যেতে পারে। তার বেশি খেলে আবার হজমে সমস্যা দেখা দেবে।

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর