মাথা ব্যথা এমন একটি সমস্যা যা প্রায় সবাই কোনো না কোনো সময় অনুভব করেন। অনেক সময় আমরা ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে ব্যথা কমাই, কিন্তু এর প্রকৃত কারণ খুঁজে দেখি না। অথচ মাথাব্যথার ধরন জানলে বোঝা
যায় শরীরে কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, মাথার কোন দিকের ব্যথা কোন রোগের ইঙ্গিত দেয়—
- মাইগ্রেন:
মাথার একপাশ থেকে শুরু হয় তীব্র দপদপে ব্যথা, যা ধীরে ধীরে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় চোখের চারপাশেও ব্যথা অনুভূত হয়। একে আধ-কপালি ব্যথাও বলা হয়। - টেনশন হেডেক:
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ থেকে এ ধরনের ব্যথা হয়। পুরো মাথা ভারী লাগে, মনে হয় যেন কেউ মাথাটা চেপে ধরেছে। - ক্লাস্টার হেডেক:
নির্দিষ্ট সময় বা মৌসুমে এই ব্যথা দেখা দেয়। সাধারণত চোখের পেছন থেকে মাথার একপাশে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়। - মস্তিষ্কে রক্তপাত:
যদি মাথার পেছন থেকে শুরু হয়ে ঘাড় পর্যন্ত প্রচণ্ড ব্যথা হয়, তাহলে তা ব্রেনের ভেতরে রক্তপাতের লক্ষণ হতে পারে। এমন অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। - ব্রেন ইনফেকশন:
সংক্রমণের কারণে পুরো মাথা জুড়ে ব্যথা হয় এবং ঘাড়েও ব্যথা অনুভূত হয়। জ্বর ও বমিও থাকতে পারে। - চোখের পাওয়ার বাড়লে:
চোখের চারপাশে ব্যথা হয়, সঙ্গে মাথায়ও টান অনুভূত হয়। চোখের সমস্যার কারণে দীর্ঘ সময় স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলে এ ব্যথা বাড়ে।
- ব্রেন টিউমার:
যদি মস্তিষ্কের ডান পাশে বা টেম্পোরাল লোবে টিউমার থাকে, তাহলে সেই দিকেই ব্যথা হয়। টিউমার ছোট থাকলে ব্যথা নাও হতে পারে, তবে বড় হলে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয়।
নিয়মিত বা তীব্র মাথাব্যথা কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। বারবার ব্যথা হলে বা চোখে ঝাপসা দেখা, মাথা ঘোরা, বমি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।


