গণভোট নিয়ে মুখোমুখি দেশের রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের এই বিরোধ, দেশকে গভীর সংকটে ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি সংঘাতময় হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন ভেস্তে যাওয়ারও শঙ্কা
তাদের। সেইসাথে সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করছেন তারা। একে অপরের প্রতি আস্থার ঘাটতি এবং দলীয় স্বার্থকে বড় করে দেখায়, পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত জটিল হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সরকারের কাছে গণভোটের সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, গণভোটের মাধ্যমে যেন পরবর্তী সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করে। তবে গণভোটের দিনক্ষণ ঠিক করবে সরকার।
গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত থাকলেও ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ তীব্র পর্যায়ে পৌঁছেছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট চায় এনসিপি। আর জামায়াত ইসলামীসহ ধর্ম ভিত্তিক দলগুলো নভেম্বরেই গণভোট চায়।
অন্যদিকে, একইদিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের দাবিতে অনড় বিএনপি।
গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মুখোমুখি অবস্থার পেছনে আস্থার সংকটকে দায়ী করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী।
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়’ এই নীতি বিশ্বাস করলে কিন্তু এত সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আমার মনে হয়, এখানে দলীয় স্বার্থটা বড় করে দেখা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হবে বলে জানান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী।
তিনি বলেন, এবার সংকট আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে টান পড়বে। কারণ, আমাদের চারদিকে যে দেশটা ঘিরে রয়েছে তারা আমাদের অভ্যুত্থানকে কখনও সমর্থন করেনি।
দ্রুত এমন অনৈক্যের সমাধান না হলে, সেনা অভ্যুত্থানের শঙ্কাও করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী বলেন, সরকার যখন ব্যর্থ হবে তখন জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও দেশের জন্য সেনাবাহিনী ইন করবে।
এ সংকট সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। সেক্ষত্রে প্রধান উপদেষ্টার বড় একটি ভূমিকা নিতে হবে।


