ছাত্র- জনতাকে দমাতে ক্লিন মিশনের নামে গভীররাতে তাদের ওপর চারদিক থেকে বৃষ্টির মতো ছোড়া হয়েছিল গুলি। সেসময় স্বৈরাচারীদের গুলিতে কতজন আন্দোলনকারী শহীদ হয়েছিলো আজও তার পরিপূর্ণ হিসাব জানতে পারেনি জাতি। স্বৈরাচারীদের ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি শহীদের পরিবার। বিচার না পেয়ে শুধু নিরবে কেঁদেছে তারা। লাশও খুঁজে পাইনি স্বজনেরা।
সেসময় ক্লিন মিশনের নামে নিরীহ ছাত্র -জনতাকে হত্যা করতে যারা হুকুম দিয়েছিল তাদেরকে এখনই আইনের আওতায় আনা উচিত। সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা মনে পড়লে আজও গাঁ শিউরে ওঠে।
সেই বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের ঘটনাগুলো জাতির সামনে তুলে ধরতেগিয়ে সত্য প্রচারকারী দেশের বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল সেই রাতে মুহূর্তের মধ্যে বন্ধ করে সবকিছু গুড়িয়ে দেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সত্য কিছু প্রচার করলেই কথায় কথায় টিভি চ্যানেলগুলোর লাইসেন্স বন্ধ করার হুমকিও দিত তৎকালীন সরকার। এরকম হুমকি আর হুঁশিয়ারিতে ভাবিয়ে তুলেছিল গণমাধ্যম কর্মীদের। এখন স্বাধীন সময়ে এসেও একটি চক্র গণমাধ্যম কর্মী ও মিডিয়া হাউজগুলোর ওপরে অতর্কিত হামলা চালাচ্ছে। স্বাধীন গণমাধ্যমকে আবারো গলা টিপে ধরার চেষ্টা করছে। এখনই এদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনলে আগামীতে মুক্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতা বজায় থাকবে।
তাই এখন স্বাধীন সময়ে এসে সত্য প্রচারে বিশ্বাসী সকল সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলগুলো সরকারি খরচে পুনরায় খুলে দেওয়া উচিত বলে আমি একজন ক্ষুদ্র গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে মনে করছি। খুব শিগগিরই স্বাধীন দেশে আবারো বীরের মতো ফিরে আসবে দেশে বন্ধ হওয়া সত্য প্রচার করা সকল সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেল, এমনটাই প্রত্যাশা দেশের সর্বস্তরের মানুষের।