রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর থেকে ইউরোপীয়দের ভাবনাচিন্তায় যে কতটা পরিবর্তন এসেছে, তা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ও পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাদেক সিকোরস্কির সাম্প্রতিক বক্তৃতা থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।
মাখোঁর মৌলিক বার্তাকে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ সমর্থন করার সঙ্গে সঙ্গে আরও বোঝা যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আরও গতিশীল ও সুসংহত পররাষ্ট্রনীতির পথে হাঁটা শুরু করতে পারে।
মাখোঁ নিজেও পরিবর্তনের পথে অনেক দূর এগিয়েছেন। ২০১৯ সালে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ন্যাটোর ‘মস্তিষ্কের মৃত্যু’ (ব্রেইন ডেথ) ঘটছে। সে সময় তিনি ইউরোপের জন্য এমন একটি স্বনির্ভর বৃহত্তর কৌশলনীতি ঠিক করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, যা সরাসরি মার্কিন নীতিকেও (এবং সেটি শুধু ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি নয়) চ্যালেঞ্জ করে বসতে পারে। সে সময় অনেকেই মাখোঁর বক্তব্যকে ভুল বলে ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই ‘ভুল’ই শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক পরিণতি বয়ে আনছে বলে মনে হচ্ছে। এ কারণে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে ন্যাটোর বেশির ভাগ ইউরোপীয় সদস্য ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সরদার হয়ে আছে। তাদের এই নিরস্ত্র দশা ইউরোপকে অরক্ষিত জায়গায় নিয়ে এসেছে।