চলমান বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে রংপুরকে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেছিল ফরচুন বরিশাল। এরপরই হ্যাটট্রিক হারের স্বাদ পায় তামিম-মিরাজরা। তবে পরের চার ম্যাচে তিনটিতে জিতে টুর্নামেন্টে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বরিশাল। নিজেদের অষ্টম ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৪০ রানে হারিয়েছে বরিশাল।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৯০ রানের বড় লক্ষ্য দেয় বরিশাল। জবাব দিতে নেমে ১৪৯ রানেই গুটিয়ে যায় তাসকিন-শরিফুলরা। এতে ৪০ রানের জয় পায় বরিশাল। এতে খুলনাকে হটিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠেছে বরিশাল।
সমান পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে রয়েছে খুলনা টাইগার্স। পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে এগিয়ে বরিশাল। বরিশালের রান রেট শূন্য দশমিক ৩৬৫ এবং খুলনা শূন্য দশমিক ৩৬০। তাই প্লে-অফে উঠতে খুলনার সঙ্গে লড়াই করছে তামিম-মিরাজরা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরতেই হোঁচট খায় ঢাকা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৮ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাব্বির হোসেন। ১১ বলে ১০ রান করে আউট হন নাঈম শেখও। পিচে থিতু হতে পারেননি সাইফ হাসানও। ১২ বলে ১৩ রান করে এই টাইগার ব্যাটার আউট হলে, দলীয় ৪১ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে রাজধানীর দলটি।
এরপর ঢাকা শিবিরে হাল ধরেন অ্যালেক্স রোস ও এসএম মেহেরব। ২৯ বলে ২৮ রান করে মেহেরব আউট হলে, ৪ বলে ৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন লঙ্কান ব্যাটার ডি সিলভা।
এক প্রান্ত আগলে রেখে অ্যালেক্স রোস ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করলেও উইকেট হারাতে থাকে বাকিরা। তাহজিবুল ইসলাম (৭) ও লাহিরু সামারাকোন শূন্য রানে আউট হলে রোসকে সঙ্গ দেন তাসকিন আহমেদ। ৬ বলে ১২ রান তাসকিন আউট হলেও ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেন অ্যালেক্স রোস।
শেষ ১২ বলে ঢাকার জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫৪ রান। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সাইফউদ্দিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন রোস। ৩০ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন এই অজি ব্যাটার। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে শরিফুল ৭ রানে বোল্ড আউট হলে ১৪৯ রানে অলআউট হয় ঢাকা। এতে ৪০ রানের জয় পায় বরিশাল।
বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন সাইফউদ্দিন। ওবেদ ম্যাককয় ও মিরাজ দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও আকিভ জাভেদ নেন এক উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বরিশালের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও আহমেদ শেহজাদ। ৪ বলে ৪ রান করে আউট হন তামিম এবং ৮ বলে ১০ রান করে আউট হন আহমেদ শেহজাদ। ৩ বলে ১ রান করে মুশফিক আউট হলে দলীয় ১৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বরিশাল।
তবে পঞ্চম উইকেটে সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে বরিশাল শিবিরে হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ। তবে পিচে সেট হতেই ব্যাট চালাতে থাকেন সৌম্য। সেই সঙ্গে ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৩৭ বলে ফিফটি পূরণ করেন মাহমুদউল্লাহও। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যেতে থাকে বরিশাল।
৪৭ বলে ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর সৌম্য সরকারকে সঙ্গ দেন শোয়েব মালিক। শেষ পর্যন্ত মালিকের ৯ বলে ১৯ রান এবং সৌম্য সরকারের ৪৯ বলের হার না মানা ৭৫ রানে ভর করে চার উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানের বড় পুঁজি পায় বরিশাল।