মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) কলম্বোর থ্রুস্টানে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ১১৪ রানের লক্ষ্য দেয় স্বাগতিকরা। জবাব দিতে নেমে ১২ বল এবং ৭ উইকেট বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় টাইগ্রেসরা। এতে ১-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। দলীয় ৭ রানের মাথায় উদ্বোধনী জুটি ভাঙে লঙ্কানদের। রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার আমাধী উইজেসিংহে। এরপর দলীয় ৩০ রানের আগেই আরও দুই উইকেট হারিয়ে বিপদ বাড়ে স্বাগতিকরা।
চতুর্থ উইকেটে পিউমি ওয়াথশালা ও সত্য সন্দীপনির ৬১ বলে ৪৬ রানের জুটিতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও বেশিদূর এগোনো যায়নি। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১১৩ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন সত্য সন্দীপনি।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন অধিনায়ক রাবেয়া খান ও ফাহিমা খাতুন।
কাগজে-কলমে ‘এ’ দলের ম্যাচ হলেও আসন্ন নারী বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জাতীয় দলের প্রায় সব ক্রিকেটারকে নিয়েই দল সাজিয়েছে বাংলাদেশ। জাতীয় দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ছাড়াও আছেন অভিজ্ঞ জাহানারা ও শামীমা সুলতানারা। তাই সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি সফরকারীদের।
দলীয় ৩ রানের মাথায় ওপেনার শামীমা সুলতানা রানআউটের ফাঁদে পড়লেও দ্বিতীয় উইকেটে ৬০ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়েন মুর্শিদা খাতুন ও দিলারা আক্তার। ৩৪ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন দিলারা আর মুর্শিদার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৩০ রান।
এই দুই ব্যাটারের শক্ত ভিতে জয়ের পথেই থাকে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত রিতু মনির ১১ রান এবং নিগার সুলতানা জ্যোতি অপরাজিত ২৪ রানে ভর করে ১২ বল এবং ৭ উইকেট বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় টাইগ্রেসরা।
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে দুই দল। এই ফরম্যাটের সবগুলো ম্যাচই হবে কলম্বোতে। ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ভেন্যু পি সারা ওভাল। ১৫ সেপ্টেম্বর তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি হবে সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে। ১৭ সেপ্টেম্বর চতুর্থ ম্যাচ থ্রুস্টান এবং ১৯ সেপ্টেম্বর সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি কল্টসে।