গত কয়েক মৌসুম ধরেই কিলিয়ান এমবাপ্পের রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ার গুঞ্জন ডালপালা মেলছিল। অবশেষে চলতি মৌসুম শুরুর আগে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন এমবাপ্পে। ফরাসি তারকাকে দলে ভেড়াতে পেরে খুশির বন্যা বয়ে গিয়েছিল লস ব্লাঙ্কোস সমর্থকদের মাঝে। কিন্তু মৌসুমের অর্ধেক শেষ না হতেই ক্রমেই এমবাপ্পেকে নিয়ে উচ্ছ্বাস বিরক্তিতে পরিণত হচ্ছে। যে কারণে ফরাসি তারকার কাছে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা আশা করছেন রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
এমবাপ্পের দলবদল সাগার সমাপ্তি ঘটেছে এই গ্রীস্মে। বিনামূল্যেই রিয়াল মাদ্রিদ দলে ভিড়িয়েছে ফরাসি সুপারস্টারকে। যে দলবদলকে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত দলবদল বলে আখ্যায়িতও করা হয়েছিল। কিন্তু রিয়ালে এমবাপ্পের শুরুটা আশানুরূপ হয়নি। এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচ খেলে মাত্র ৮টি গোল ও ২টি অ্যাসিস্ট করতে পেরেছেন ফ্রান্স জাতীয় দলের অধিনায়ক।
তবে এমবাপ্পে সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছেন মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোয়। সেই ম্যাচে এমবাপ্পের পারফরম্যান্স ছিল বিস্মরণযোগ্য। গোল করতে ব্যর্থ তো হয়েছেনই, নষ্ট করেছেন একের পর এক সুযোগ। রিয়াল মাদ্রিদও ম্যাচটি ৪-০ গোলে হেরে লা লিগার শিরোপাদৌড়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে।
মাদ্রিদভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রেলেভোর খবর অনুযায়ী, রিয়ালের কোচ আনচেলত্তি এরই মধ্যে এমবাপ্পের দুর্বলতা খুঁজে বের করেছেন এবং তাকে আক্রমণে আরও দায়িত্বশীল হতে বলেছেন। এই ইতালিয়ান কোচ ২৫ বছর বয়সী ফরাসি সুপারস্টারের বল হারালে তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা না করার অভ্যাসের কারণে রীতিমতো শঙ্কিত। এমবাপ্পের রক্ষণে সাহায্য না করার অভ্যাসের কারণেও বিরক্ত এই ইতালিয়ান কোচ।
এদিকে গত সপ্তাহে স্প্যানিশ সাংবাদিক রোমাইন মলিনা দিয়েছেন আঁতকে ওঠার মতো খবর। তার দাবি, পিএসজি থেকে এই ফরাসিকে দলে ভিড়িয়ে এরই মধ্যে ‘আফসোস’ শুরু করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এক সাক্ষাৎকারে মলিনা বলেন, ‘তারা তাকে (এমবাপ্পে) এনে আফসোস করছে। আমি এটার নিশ্চয়তা দিচ্ছি। আমি সামনে এবং পেছনে (মাইক্রোফোনে, রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের) এ ব্যাপারে কথা বলেছি। এটা মোটেও তেমনটা হয়নি, যা তারা প্রত্যাশা করেছিল। এটা পেরেজের (ফ্লোরেন্তিনো) একটা ঝোঁক ছিল। শুধু পেরেজই তাকে চেয়েছিল।’
বার্সেলোনার কাছে হারার পর ফের মাঠে নামার অপেক্ষায় রিয়াল মাদ্রিদ। আগামী মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে এসি মিলানের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা।