ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) নুসেইরাত এলাকায় স্কুলটি পরিচালনা করছিল। এটি উদ্বাস্তুদের আবাস হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছিল।
সংবাদমাধ্যমটির বৃহস্পতিবারের (৬ জুন) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে তারা স্কুলকে টার্গেট করার বিষয়টি প্রত্যাখান করেছে। তারা বলেছে, বিদ্যালয়টি হামাসের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলে, হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো বোমা ফেলে। হামলায় নিহতরা ‘সন্ত্রাসী’।
তবে নিহতদের বিষয়ে স্বাধীনভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি রয়টার্স। হতাহতের বিষয়ে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও তাৎক্ষণিক কিছু জানায়নি।
ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে নেতানিয়াহুর বাহিনী। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব সত্ত্বেও তারা অবিরাম বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলের হামলায় সাড়ে ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ৮৩ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। এদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে গাজার তীব্র হয়েছে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের সংকট। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বহু লাশ।
এত ভয়াবহতার পরও থামছে না ইসরায়েল। সর্বশেষ আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এক রায়ে আদালত তেলআবিবকে অবিলম্বে দক্ষিণের শহর রাফাতে হামলা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু এতেও কর্ণপাত করছে না দখলদাররা।
নেতানিয়াহুর বাহিনী দক্ষিণ গাজার আল-কারারা শহরে শিশুদের পোশাক খুলতে বাধ্য করে। আনাদোলুর সাংবাদিক পোশাক খুলে শিশুদের রোদে দাঁড় করিয়ে রাখার ছবি ধারণ করেছে। ইসরায়েলি সেনারা বুধবার (৫ জুন) ভোরে ভারি বোমাবর্ষণের মধ্য দিয়ে শহরে প্রবেশ করে। এরপর বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় শিশুদের পোশাক খুলতে বাধ্য করে। পরে নারীসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়।