পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আজও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ নিয়ে টানা ১১ দিন ধরে উপজেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঘন কুয়াশার সঙ্গে পাহাড় থেকে বয়ে আসা ঠাণ্ডা বাতাস পঞ্চগড়ের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যআয়ের মানুষের অবস্থা বেশি করুণ। এই জেলার নিম্ন আয়ের মানুষের বেশিরভাগ পাথর, চা শ্রমিক ও দিনমজুর হওয়ায় শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না অনেকে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ১৬ ডিসেম্বর থেকেই পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় তেঁতুলিয়া উপজেলায় সবার আগে শীত নামে।
গতকাল ২৫ ডিসেম্বর তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এছাড়া ২৪ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি, ২৩ ডিসেম্বর ১৩ দশমিক ০ ডিগ্রি, ২২ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ২১ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ২০ ডিসেম্বর ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি, ১৯ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ১৮ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ১৭ ডিসেম্বর ১০ দশমিক ০ ডিগ্রি, ১৬ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
তীব্র শীতে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুর বহির্বিভাগে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, গতকালের চেয়ে সামান্য তাপমাত্রা বেড়ে আজকে ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা গতকাল ছিল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে গত ১৬ ডিসেম্বর থেকেই এই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানান তিনি।