রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
24 C
Dhaka
Homeবাংলাদেশঅবশেষে মুখ খুললেন ছাত্রলীগের সাদ্দাম-ইনান, দিলেন বিবৃতি

অবশেষে মুখ খুললেন ছাত্রলীগের সাদ্দাম-ইনান, দিলেন বিবৃতি

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪ ১:১৭
প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪ ৫:৩৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ (জাবি) দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোফাজ্জল হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শামীম মোল্লা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আব্দুল্লাহ আল মাসুদসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘটিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ছাত্রলীগ। একই সঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

 

প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেল থেকে রাতের মধ্যে এ দুই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এর মধ্যে জাবিতে নিহত শামীম মোল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং ঢাবিতে নিহত তোফাজ্জল হোসেন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। ঢাবির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছে। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সর্বত্র সমালোচনার ঝড় বইছে।

দেশের স্বনামধন্য এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে অপরাধীকে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা তো (শিক্ষার্থী) সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত। একজন অপরাধ করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করুন। আইন তো নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার নেই কারও।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জয় বাংলা’ ফটক এলাকায় শামীম মোল্লাকে মারধর করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রক্টরিয়াল বডি’র হাতে তুলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে আশুলিয়া থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এরপর রাত ৯টার দিকে চিকিৎসার জন্য সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

 

এর আগে ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আট শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বাধীন সেনকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি। কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপরে হামলার অভিযোগে গণপিটুনির শিকার হওয়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ মারা গেছেন। ওই দিন রাত ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগীরর বিনোদপুর বাজার এলাকায় মারধরের শিকার হন আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। নিহত আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার রফিকুল ইসলামের ছেলে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল সেন্টারের স্টোর অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। সপরিবারে বিনোদপুরে বসবাস করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত মাসুদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিনোদপুরের বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় বিনোদপুর বাজারে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা তাকে ঘিরে ফেলে। পরে তাকে গণপিটুনি দিয়ে প্রথমে মতিহার থানায় এবং পরবর্তীতে বোয়ালিয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান ফিরোজ বলেন, রাতে মাসুদকে হাসপাতলের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তার শরীরের কয়েক জায়গাতে জখম ছিল। তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাতে মারা যান।

 

আরও পড়ুন
spot_img

জনপ্রিয় খবর