রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ফটিকছড়ি পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের সব লাইনম্যান ও কারিগরি কর্মকর্তারা একযোগে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তারা কাজের সরঞ্জাম, অভিযোগ কেন্দ্র ও সাবস্টেশনের মোবাইল ফোন, গাড়ির চাবি এবং গণছুটির ফরম জমা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন।
এর ফলে এখন কোনো কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে বা সমস্যা হলে, তা মেরামত বা পুনরায় সচল করার মতো মাঠ পর্যায়ে কোন জনবল নেই। এতে পুরো ফটিকছড়ির বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় যে কোনো মুহূর্তে বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফটিকছড়ি জোনাল অফিসের আওতাধীন একটি সাবস্টেশনে মোট ৭টি ফিডারের সবক’টিই বর্তমানে চালু রয়েছে। সকালে ৩৩ কেভি ফিডার ট্রিপ করলে রাতের ডিউটিতে থাকা সাবস্টেশন অ্যাটেনডেন্ট সেটি পুনরায় সচল করেন এবং সংশ্লিষ্ট ১১ কেভি ফিডারগুলো চালু করা হয়। বর্তমানে রোসাংগিরি উপকেন্দ্রের ২ নম্বর ফিডার এবং বারমাসিয়া উপকেন্দ্রের ২ ও ৫ নম্বর ফিডার সচল রয়েছে।
তবে বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, এখন থেকে ৩৩ কেভি বা ১১ কেভির কোনো ফিডার ট্রিপ করলে সেটি সচল করার মতো লোকবল আর নেই। ফলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এলাকার সচেতন মানুষ জানিয়েছেন, এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে ফটিকছড়িবাসী বিদ্যুৎ সমস্যায় ভুগছেন। আগে নিয়মিত বিদ্যুৎ পেলেও বর্তমানে তা অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে হঠাৎ এ ধরনের কর্মবিরতি, সাধারণ মানুষকে আরো বিপাকে ফেলবে বলে তারা মনে করছেন।
বিদ্যুতের বিল নিয়েও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আছে। এক মাসে এক রকম বিল আরেক মাসে ভিন্ন রকম বিল দিতে হয় এমন অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, “এভাবে ভোগান্তি চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? তারা গণছুটিতে যাওয়া কর্মচারীদের ছাঁটাই করে নতুন নিয়োগ দেয়ারও দাবি জানান।
ফটিকছড়ি বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে আমরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। লোকবল ছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখা কঠিন হবে।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, দ্রুত সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। নয়তো পুরো উপজেলা জুড়েই ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে, যে কোন সময়।